Jama Masjid-এর সিঁড়িতে বসে প্রতিবাদীদের সঙ্গে সময় কাটাতে দেখা গিয়েছে চন্দ্রশেখর আজাদ আকা রাবণকে
হাইলাইটস
- শুক্রবার রাত ন'টার মধ্যে দিল্লি ছারতেই হবে, এই শর্তে জামিন পান আজাদ
- তার আগে এদিন সকালে জামা মসজিদে কাটিয়ে যান ভীম আর্মি প্রধান
- পড়ে শোনান সংবিধানের মুখবন্ধ
নয়াদিল্লি: দিল্লি ছাড়ার ঘণ্টাখানেক আগে জামা মসজিদ চত্বরে দেখা গেল ভীম আর্মি প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ ওরফে রাবণকে (Ravan)। শুক্রবার রাত ন'টার মধ্যে তাঁকে (Bhim Army Chief) দিল্লি ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই শর্তে বৃহস্পতিবার জামিন পেয়েছেন তিনি। তারপরেই এদিন ওই ((Jama Masjid) মসজিদের সিঁড়িতে বসে প্রতিবাদীদের সঙ্গে সময় কাটাতে দেখা গিয়েছে রাবণকে।শুক্রবার প্রতিবাদীদের সংবিধানের মুখবন্ধ বা প্রিঅম্বল পড়ে শুনিয়েছেন তিনি(Chandrasekhar Azad)। ২১ ডিসেম্বর জামা মসজিদে সিএএ-বিরোধী প্রতিবাদে মদত ও হিংসা (Anti-CAA) ছড়ানোর অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। বুধবার তাঁর জামিন মঞ্জুর করে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যে তাকে দিল্লি ছাড়তেই হবে। একমাস সে রাজ্যে ঢুকতে পারবেন না তিনি। সেদিন রাবণের জামিনের শুনানিতে আদালতের বিচারক কামিনী লাউ রবীন্দ্রনাথকে উদ্ধৃত করে বলেছিলেন, চিত্ত যেথা ভয় শুন্য। অর্থাৎশান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ প্রদর্শন নাগরিকদের মৌলিক অধিকার। রাষ্ট্র সেখানে বাধা তৈরি করতে পারে না।
এমনকী সেই অধিকার প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিককে সংবিধান দিয়েছে, বলে বুধবার মন্তব্য করেছিলেন ওই বিচারক। এদিকে, চন্দ্রশেখর আজাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনও প্রমাণ আদালতে দাখিল করতে পারেনি দিল্লি পুলিশ। সেই অকর্মণ্যতার জন্যও বিচারকের কাছে ভর্ৎসনা শুনতে হয়েছিল পুলিশকে। তিনি বলেছিলেন, কবিগুরু বর্তমান যুগে খুব প্রাসঙ্গিক।
ব্রিটিশরা যখন বিভেদ এবং শাসন (ডিভাইড এন্ড রুল) নীতিতে দেশ ভাগ করছে, তখন অন্য এক ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি দেখেছিলেন মানুষের মনে কোনও শঙ্কা নেই আর শিক্ষা সকলকে একসূত্রে বেঁধে রেখেছে। ওই বিচারক মন্তব্য করেছিলেন, সংবিধানে অধিকার আর কর্তব্যের একটা সূক্ষ্ম সংযোগ আছে। কেউ যখন শান্তিপূর্ণ পথে প্রতিবাদের অধিকার ফলায় তখন কর্তব্য সেই অধিকার হনন করতে পারে না। তবে দু'পক্ষেরই উচিত তৃতীয় কাউকে আঘাত না করে, নিজেদের মধ্যে মিলমিশ করে এগিয়ে চলা। তাই চন্দ্রশেখর আজাদের বিরুদ্ধে হিংসা বা সাম্প্রদায়িক মন্তব্যের কোনও প্রমাণ নেই। ও সংবিধানে মুখবন্ধ পড়েছিলেন। যে নথি আমাদের কাছে পবিত্র, বুধবার বলেছিলেন বিচারক কামিনী লাউ।