Kerala Pregnant Elephant: হাতির মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ গ্রেফতার ১
হাইলাইটস
- কেরলে বাজি ভর্তি আনারস খেয়ে মৃত্যু হয় এক গর্ভবতী হাতির
- ওই অমানবিক ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ
- আপাতত আনারসে যে বিস্ফোরক ভরা ছিল তা জোগান দেওয়া ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হল
তিরুবনন্তপুরম: কেরলে (Kerala) গর্ভবতী হাতির (Pregnant Elephant Death) মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ গ্রেফতার ১, জানিয়েছেন কেরলের বনমন্ত্রী কে রাজু। ওই রাজ্যে যেভাবে বাজি ভর্তি (Fire Cracker) আনারস খেয়ে ওই গর্ভবতী হাতিটির মৃত্যু (Kerala Elephant) হয় তাতে শিউরে ওঠে গোটা দেশ। অমানবিক এই ঘটনায় লজ্জায় মুখ ঢাকেন অনেকেই। কে বা কারা ওই আনারসের মধ্যে বিস্ফোরক ভরে রেখেছিল এবং তাঁদের উদ্দেশ্যই বা কী ছিল তা নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয় রাজ্য ও কেন্দ্র, উভয় সরকারের পক্ষ থেকেই। বৃহস্পতিবারই কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছিলেন যে, ওই (Kerala Pregnant Elephant) হত্যার ঘটনায় ৩ সন্দেহভাজনকে চিহ্নিতও করা হয়েছে। এবার আরও একধাপ এগিয়ে ১ জনকে গ্রেফতার করল কেরল সরকার।
বাজিভরা আনারস খেয়ে মৃত গর্ভবতী হাতির মৃত্যুতে উত্তাল দেশ; মানুষ হিসেবে লজ্জিত নেটিজেনরা
কেরলের বন দফতরের এক উচ্চপদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, বছর চল্লিশের যে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে সে ওই বিস্ফোরক সরবরাহ করেছিলো বলে অভিযোগ। পুলিশ বাকি সন্দেহভাজনদের সন্ধানেও চিরুণি তল্লাশি চালাচ্ছে।
"এটা ভারতীয় সংস্কৃতি নয়": কেরলের হাতি মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের আশ্বাস দিয়ে বললেন মন্ত্রী
জানা গেছে, জঙ্গল থেকে বেরিয়ে খাবারের সন্ধানেই কাছের গ্রামে গিয়েছিল হস্তিনীটি। সেখানেই তাকে বাজি ভর্তি আনারস খেতে দেওয়া হয়। ওই ফলটিই তার মুখের মধ্যে ফেটে যায় এবং তীব্র যন্ত্রণায় বেশ কয়েকদিন ধরে গ্রামেই ঘুরে বেড়াতে থাকে সে। ক্ষতবিক্ষত মুখে কিছু খেতেও পারেনি বেচারি। অবশেষে একটি নদীতে শরীর ডুবিয়ে প্রবল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে চেয়েছিল সে, কিন্তু পারেনি। সেখানেই মারা যায় গর্ভবতী হস্তিনীটি।
কে বা কারা ওই আনারসের মধ্যে বিস্ফোরক ভরে রেখেছিল এবং তাঁদের উদ্দেশ্যই বা কী ছিল তা নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত হবে বলে বৃহস্পতিবার আশ্বাস দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। হাতি-মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার তদন্ত করবে, একথাও জানান তিনি। ক্ষুব্ধ মন্ত্রী বলেন, গোটা ঘটনাটিই ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে মেলে না।
তবে এই হাতিটির মৃত্যু নিয়ে এত তোলপাড় হলেও জানা যায় যে বরাবরই নাকি কেরলের মতো রাজ্যগুলোতে যেকোনও বন্য প্রাণী থেকে ফসল রক্ষার জন্য ফলের মধ্যে বিস্ফোরক ভরে টোপ হিসাবে ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে।