This Article is From Dec 19, 2019

“আগ্নেয়াস্ত্রের আঘাতে” লখনউতে নিহত এক বিক্ষোভকারী

পরিবর্তন চকে, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁট, পাথর ছোঁড়া হয়, টেলিভিশন চ্যানেলের একটি ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়

“আগ্নেয়াস্ত্রের আঘাতে” লখনউতে নিহত এক বিক্ষোভকারী

Citizenship Act protests: লখনউর বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়

লখনউ:

নাগরিকত্ব আইনের (Citizenship (Amendment) Act) প্রতিবাদে বিক্ষোভ করার সময় “আগ্নেয়াস্ত্রের আঘাতে” এক জনের মৃত্যু হয়েছে। ভাঙচুরের পরেই, লাঠিচার্জ এবং কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ, বিতর্কিত আইনটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সময়, অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি পাথর ছোঁড়া হয় লখনউতে (Lucknow) । নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীরা পাথর ছোঁড়ে এবং পুলিশ ফাঁড়িতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ, বেশ কয়েকটি গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়, তারপরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। পরিবর্তন চকে একটি রাজ্য পরিবহন সংস্থার বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় সাতখাণ্ডা এলাকায় পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। পুরানো লখনউতে একটি পুলিশ ফাঁড়িতে ভাঙচুর করা হয়, বাইরে থাকা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিলে, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। ২০ জনকে আটক করা হয়।

লখনউ এর অন্যান্য জায়গায় পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হলে, লাঠিচার্জ করা হয়। অনেক হাসনগঞ্জ সহ বিভিন্ন এলাকায়, বিক্ষোভকরীদের সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে পুলিশের। হিংসার ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর।

পরিবর্তন চকে, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁট, পাথর ছোঁড়া হয়, টেলিভিশন চ্যানেলের একটি ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

পরিবর্তন চকে যাতে বিক্ষোভকারীরা জমায়েত না হতে পারে, তারজন্য কেডি সিং মেট্রো স্টেশন বন্ধ রাখা হয়।

সংশোধিত আইনটির প্রতিবাদে তৈরি হওয়া বিক্ষভে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা, হজরতগঞ্জ সহ বিভিন্ন এলাকায় বাজার বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

টিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে, কাঁচ ভাঙা হচ্ছে। মুখে মাস্ক পড়ে এবং রুমাল বেঁধে পাথর ছুঁড়ছে অনেকে।

সন্ধ্যার দিকে পরিস্থিতির উন্নতি হয়।

আইজি আইনশৃঙ্খলা প্রবীণ কুমার জানান, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, এবং আতঙ্কিত হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। যারা বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে, তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে”।

ডিভিশনার কমিশনার মুকেশ মেশরাম জানান, সম্পত্তি নষ্ট করেছে যারা, তাদের চিহ্নিত করতে সিসিটিভি ফুটেজ স্ক্যান করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমরা নিশ্চিত করব যে, তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে”।

হিংসার ঘটনা নিয়ে, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ হুঁশিয়ারি দেন, যারা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করেছে, “বদলা” নিতে, তাদের সম্পত্তি “নিলাম” করে ক্ষতিপূরণ তোলা হবে।

তিনি বলেন, “গণতন্ত্রে হিংসার কোনও স্থান নেই। নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরোধিতার নামে, দেশে আগুন লাগিয়েছে কংগ্রেস, সমাজবাদি পার্টি এবং বামেরা। লখনউ এবং সম্ভলে হিংসা হয়েছে, এবং আমরা কঠোরভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। যারা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করেছে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে এবং ক্ষতিপূরণের জন্য নিলামে তোলা হবে”।

উত্তরপ্রদেশ সরকারের মুখপাত্র এবং মন্ত্রী শ্রীকান্ত শর্মা বলেন, এটা “খুবই দুঃখজনক”, যে বিরোধীরা মানুষকে “ভুল বোঝাচ্ছে”, বিশেষ করে পড়ুয়াদের, এবং তাদের এই কাজ করতে বলছে।

( PTI এর তথ্য সংযুক্ত হয়েছে)

.