This Article is From Aug 20, 2020

জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ১০,০০০ সেনা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র

Jammu and Kashmir নিয়ে যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের পর সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া রোধে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জম্মু ও কাশ্মীরকে করা নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে ঘিরে রাখা হয়

জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্য়ের মর্যাদা প্রত্যাহারের পরেই সেখানে সেনা মোতায়েন করা হয় (প্রতীকী চিত্র)

হাইলাইটস

  • ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের পথে জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি
  • এবার সেখান থেকে আধাসামরিক বাহিনী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
  • গত বছরের অগাস্ট মাস থেকে সেখানে ওই বাহিনী মোতায়েন করা হয়
নয়া দিল্লি:

ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনধারায় ফিরে আসতে চলেছে জম্মু ও কাশ্মীর। বুধবার সন্ধেয় কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, প্রায় ১০,০০০ আধা সামরিক বাহিনীকে ওই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে প্রত্যাহার (Troops withdrawal from J and K) করা হবে। গত বছরের অগাস্টে এই আধাসামরিক বাহিনীকে জম্মু ও কাশ্মীরে মোতায়েন করা হয়। সেসময় ওই এলাকা নিয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্যটির বিশেষ মর্যাদার সমাপ্তি ঘোষণা করে সেটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী বা সিএপিএফ মোতায়েন (Paramilitary In Jammu and Kashmir) করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কেন্দ্রের তরফে দেওয়া নির্দেশে বলা হয়েছে, "জম্মু ও কাশ্মীর থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সিএপিএফের সেনা প্রত্যাহার করে তাঁদের নিজ নিজ জায়গায় ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।"

ওই আদেশ অনুসারে, ১০০ টি কোম্পানির মধ্যে রয়েছে ৪০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স এবং ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় শিল্প সুরক্ষা বাহিনী, সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী এবং সশস্ত্র সীমা বলের সেনা। জম্মু ও কাশ্মীরে যাওয়ার আগে ওই সেনারা যে-যে জায়গায় মোতায়েন ছিলেন সেখানেই ফিরে যাবেন।

মে মাসেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Ministry of Home Affairs) জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ১০ কোম্পানি সিএপিএফ প্রত্যাহার করে নেয়। জানিয়ে রাখি, একটি সিএপিএফ কোম্পানিতে প্রায় একশ জন সেনা কর্মী থাকেন।

জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের পর সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া রোধে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে গত বছরের অগাস্টে জম্মু ও কাশ্মীরকে করা নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে ঘিরে রাখা হয়। অন্যান্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে সেখানে সব ধরণের বড় সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়, ফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবা প্রত্যাহার করা হয় এবং কয়েকশো স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকে আটক করা হয়। 

তবে গত কয়েক মাস ধরেই জম্মু ও কাশ্মীরকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে ধীরে ধীরে নিরাপত্তার কড়াকড়ি শিথীল করা হচ্ছে। সেখানকার পরিস্থিতির নিয়মিত মূল্যায়ন করে তবেই এগুলো করা হচ্ছে। 

.