প্রায় ১০০ জন বিক্ষোভকারীকে প্রাথমিকভাবে আটক করে Delhi Police, পরে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়
হাইলাইটস
- জামিয়া সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার ১০ জন
- শতাধিক দুই চাকার যান, ৩ টি বাস এবং ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়
- তবে জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদেরও ক্লিচ চিট দিচ্ছে না পুলিশ
নয়া দিল্লি: দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া (Jamia Millia Islamia) বিশ্ববিদ্যালয়ের সহিংস বিক্ষোভের ঘটনায় আপাতত ১০ জনকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ, কিন্তু তাঁরা কেউই ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া নন বলে জানা গেছে। রবিবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে জামিয়া (Jamia) মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের বিক্ষোভ মিছিলকে ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। তখনই ছাত্রদের তরফ থেকে বলা হয় যে, তাঁরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভই দেখাতে চেয়েছিল, প্রতিবাদ মিছিল (Jamia Protest) হিংসাত্মক হওয়ার পিছনে তাঁদের কোনও হাত নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সেই "বহিরাগত" সূত্রই প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হচ্ছে। কেননা দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) যে ১০ জনকে অশান্তি ছড়ানোর দায়ে গ্রেফতার করেছে তাঁরা কেউই জামিয়ার পড়ুুয়া নন বলে জানা গেছে। জামিয়া ও ওখলা অঞ্চল থেকেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
তবে জামিয়া সংঘর্ষ তথা হিংসার ঘটনায় কোনও জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া ছাত্রকে গ্রেফতার করা না হলেও এখনই বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের সকলকে ক্লিন চিট দেওয়া হচ্ছে না বলেই জানায় দিল্লি পুলিশ।
"ক্যাম্পাসে পুলিশ প্রবেশের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হোক": দাবি জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের
রবিবার সন্ধেয় জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভ মিছিল ক্রমেই সহিংস হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা ভাঙচুর চালায় ও যানবাহন জ্বালিয়ে দেয়। সেই সময়েই পুলিশ এলে তাঁদের সঙ্গেও সংঘর্ষ বাঁধে শিক্ষার্থীদের। লাঠিচার্জ করে ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করে প্রায় ১০০ জন শিক্ষার্থীকে আটক করে।
জামিয়ায় পুলিশি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করলো বিরোধীরা
এরপরেই আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে, অসংখ্য মানুষ শীতকে উপেক্ষা করে মধ্যরাতেই দিল্লি পুলিশের সদর দফতরের বাইরে জড়ো হন। পুলিশি সদর দফতরের বাইরের মূল রাস্তাটি অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান প্রতিবাদকারীরা। পরে ভোরের দিকে আটক করা ছাত্রছাত্রীদের মুক্তি দেওয়া হয়।
যদিও জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয় কোনও হিংসাত্মক ঘটনার সঙ্গে তাঁরা জড়িয়ে নেই। শিক্ষার্থীরা বলে: "আমরা সবসময়েই শান্তিপূর্ণ এবং অহিংস বিক্ষোভের পক্ষে"। পাশাপাশি তাঁরা একথাও বলেন যে বহিরাগতরা এই ধরণের হিংসা ছড়িয়েছে এবং শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে সহিংস বিক্ষোভের রূপ দিয়েছে। দিল্লি পুলিশ ১০ বহিরাগতকে গ্রেফতার করায় তাঁদের সেই যুক্তি আরও প্রবল হল বলেই মনে করা হচ্ছে।
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে মহা মিছিলে হাঁটলেন মুখ্যমন্ত্রী, দেখুন ভিডিও: