এখানে রইল ১০'টি তথ্য:
1.চলতি বছরেই ৩ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশ হবে ভারত এবং আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিপুল বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের মাধ্যমে ৫ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতি দেশ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবে দেশ, এমনটাই বলেন নির্মলা সীতারামন।
2. ফেব্রুয়ারিতে অন্তর্বর্তী বাজেটের ঘোষণা অনুযায়ী ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে করছাড়ে কোনো পরিবর্তন না করলেও ২.৫ কোটি উপার্জনকারীদের ক্ষেত্রে ৩শতাংশ ও ৫ কোটির উপরে উপার্জনকারীদের ক্ষেত্রে ৭ শতাংশ সারচার্জ বসানোর নতুন ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
3. এছাড়াও যে সব কোম্পানির বার্ষিক লেনদেনের পরিমাণ ৪০০ কোটি টাকা তাঁদের এখন ২৫ শতাংশ ট্যাক্স ব্রেকেটের মধ্যে রাখা হবে, আগে যেখানে কোম্পানিগুলিকে ২৫০ কোটি টাকা বার্ষিক লেনদেন হলেই ওই কর দিতে হত। এছাড়াও নিরাপত্তা বিষয়ক লেনদেনের ক্ষেত্রেও করছাড়ের ঘোষণা করা হয়েছে।
4. সিঙ্গল-ব্র্যান্ড রিটেল, বিমান, বীমা, প্রচার মাধ্যম ও অ্যানিমেশন সেক্টরে বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগের সীমাবদ্ধতা আরও সহজ হবে বলেই জানান নির্মলা সীতারামন।ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং বিশেষ করে স্টার্ট আপের ক্ষেত্রে কিছুটা আশার খবর শুনিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এক মিনিটে ঋণ মঞ্জুর-সহ আয়কর এবং বিনিয়োগে বিশেষ সুযোগ দেওয়া হবে। এছাড়া দূরদর্শনে শুধুমাত্র স্টার্ট আপের কথা মাথায় রেখেই একটি অনুষ্ঠান করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বাজেটে।
5. রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির ঘাড়ে বিপুল পরিমাণ নন পারফর্মিং অ্যাসেট বা অনুৎপাদক সম্পদের বোঝা। সেই ভার লাঘব করতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে মোট ৭০ হাজার কোটি টাকা সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। এর ফলে ব্যাঙ্কগুলির ঋণ দানের ক্ষমতা বাড়বে বলে মত নির্মলার। এ ছাড়া হাউসিং ফিনান্স কর্পোরেশনের নিয়ন্ত্রণ হাউসিং বোর্ডের হাত থেকে যাচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে।পাশাপাশি বৈদ্যুতিন আদানপ্রদানকে উৎসাহ দিতে অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা, বছরে ১কোটি টাকার উপর নগদ টাকা তোলা হলে ২ শতাংশ হারে টিডিএস ধার্য্য হবে।
6. পরবর্তী ৫ বছরে দেশে ১.২৫লক্ষ কিলোমিটার রাস্তার উন্নয়ন করা হবে, যার জন্যে ৮০ হাজার কোটির টাকারও বেশি বরাদ্দ করেছেন অর্থমন্ত্রী।
7. “জিরো বাজেট ফার্মিং”-এর মাধ্যমে ২০২২ সালের মধ্যেই দেশের কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার যে লক্ষ্যমাত্রা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী তা পূরণ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন নির্মলা সীতারামন। অর্থমন্ত্রী বলেন, "গাঁও (গ্রাম), গরিব (দরিদ্র) এবং কিষাণ (কৃষক)" সব সরকারি পদক্ষেপের কেন্দ্রস্থলে থাকবে।
8. স্টিলের কাস্টমস ডিউটি ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭,৫ শতাংশ এবং সোনা ও মূল্যবান ধাতুর ক্ষেত্রে তা বাড়িয়ে ১২.৫ শতাংশ করা হয়েছে। স্থানীয় উৎপাদনকে উৎসাহিত করার জন্য কয়েকটি আমদানি করা পণ্যের উপরও শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।
9. রাজস্ব ঘাটতি - সরকার যা অর্জন করে এবং ব্যয় করে সেগুলির মধ্যে পার্থক্য –অর্থাৎ গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্টের (জিডিপি) ৩.৩ শতাংশ হবে, বলেন নির্মল সীতারামান। চলতি অর্থবছরে সরকার রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ৯০,০০০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ১.০৫ লক্ষ কোটি টাকা করেছে।
10. এই বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি(PM Narendra Modi) বলেছেন, এই বাজেটে "অর্থনৈতিক সংস্কার, সাধারণ মানুষের জন্য জীবনযাপন সহজতর করা , গ্রামের দরিদ্রদের কল্যাণের" প্রতি যত্ন নেওয়া হয়েছে।যদিও প্রধানমন্ত্রীর কথার সমালোচনা করে কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বলেছেন,আম আদমিদের জন্যে কিছুই নেই এই বাজেটে।তাঁদের এখন পেট্রোল ও ডিজেলের ক্ষেত্রে আরও ২ টাকা করে লিটার প্রতি বেশি খরচ করতে হবে এবং যার প্রভাব দৈনন্দিন সমস্ত জিনিসেই পড়বে।