Read in English
This Article is From Jun 05, 2019

১০ ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গির সংশোধিত তালিকা প্রস্তুত কেন্দ্রের

এই তালিকায় জৈশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তৈবা, হিজবুল মুজাহিদিন ও আল বদরের বিভিন্ন জঙ্গিদের রাখা হয়েছে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

নতুন সংশোধিত তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে

Highlights

  • কেন্দ্র প্রকাশ করল ১০ জন ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গির নতুন তালিকা।
  • দশ জনের মধ্যে ছ’জন জঙ্গিই হিজবুল মুজাহিদিনের।
  • ‘জিরো-টলারেন্স’ নীতিতে অভিযান চালানোর নির্দেশ অমিত শাহর।
নয়াদিল্লি:

সদ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। তারপরই জম্মু ও কাশ্মীরকে (Jammu and Kashmir) জঙ্গিমুক্ত করার অভিপ্রায়ে এবার কেন্দ্র প্রকাশ করল ১০ জন ‘মোস্ট ওয়ান্টেড' (Most wanted) জঙ্গির  নতুন তালিকা। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনী ও গোয়েন্দা বাহিনী (IB)-র যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই তালিকায় জৈশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তৈবা, হিজবুল মুজাহিদিন ও আল বদরের বিভিন্ন জঙ্গিদের রাখা হয়েছে। দশ জনের মধ্যে ছ'জন জঙ্গিই হিজবুল মুজাহিদিনের। বাকিদের মধ্যে জৈশ-ই-মহম্মদের দু'জন, লস্কর-ই-তৈবা ও আল বদরের একজন করে রয়েছে। লস্কর-ই-তৈবার প্রধান আহমেদ ওরফে ওসামা, যে জম্মু ও কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলায় সক্রিয় এবং হিজবুল মুজাহিদিনের কমান্ডার রিয়াজ নাইকু অরফে মহম্মদ বিন কাসিমের নাম ওই তালিকায় রয়েছে।

এছাড়াও ওই তালিকায় রয়েছে হিজবুল মুজাহিদিনের অনন্তনাগ জেলার কমান্ডার মহম্মদ আশরফ খান, বারামুলা জেলার কমান্ডার মেহরাজউদ্দিন, শ্রীনগরের ক্যাডার ড. সাইফুল্লা, পুলওয়ামা জেলার কমান্ডার আরশাদ-উল-হক ও আজাজ আহমেদ মালিক যে সম্ভবত কুপওয়াড়া জেলায় নিযুক্ত রয়েছে কমান্ডার হিসেবে।

এছাড়াও ওই তালিকায় রয়েছে উত্তর কাশ্মীরে আল বদরের বিভাগীয় কমান্ডার জাভেদ মাটু ওরফে ফৈজল ওরফে শাকিব ওরফে মুসাব এবং পাকিস্তানের বাসিন্দা জৈশ-ই-মহম্মদের মুখ্য কার্যকরী কমান্ডার হাফিজ উমর ও জাহিদ শেখ ওরফে ওমর আফঘানি। 

Advertisement

তালিকাটি নতুন করে সংশোধন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে তাঁকে জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা সংস্থাগুলির টার্গেট সম্পর্কে অবহিত করার জন্য।

১ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, স্বরাষ্ট্র সচিব রাজীব গৌবা, আইবি-র মুখ্য রাজীব জৈন, র-এর প্রদান অনিল ধাসমানা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সিনিয়র আধিকারিকদের বৈঠক হয়।

Advertisement

জানা যাচ্ছে, অমিত শাহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকদের এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন দেশ জুড়ে ‘জিরো-টলারেন্স' নীতি প্রয়োগ করে অভিযান চালাতে।

এরই মধ্যে অমিত শাহ তিনটি বৈঠক করে ফেলেছেন অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ে। যার মধ্যে প্রধান  ফোকাস ছিল জম্মু ও কাশ্মীরের উপরে।

Advertisement

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি, বিশেষ করে সীমান্ত এলাকা সম্পর্কে অবগত হয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের বিষয় বিভাগীয় দফতর থেকে যারা জঙ্গী-বিরোধী অভিযানের সঙ্গে জড়িত। এছাড়া আফস্পা (আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ারস অ্যাক্ট), বিদেশ মন্ত্রক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মধ্যে যোগাযোগ ইত্যাদির মাধ্যমেও তিনি অবগত হয়েছেন।

Advertisement