This Article is From Jul 16, 2019

পরিবারের বার্ষিক আয় ৮ লক্ষের কম? রাজ্যসরকারের চাকরিতে মিলবে অগ্রাধিকার

পশ্চিমবঙ্গে সরকারি চাকরিতে নানা পদে অগ্রাধিকার পাবেন সেইসব ব্যক্তিরাই যাদের পরিবারের বার্ষিক আয় ৮ লাখ টাকার নীচে

পরিবারের বার্ষিক আয় ৮ লক্ষের কম? রাজ্যসরকারের চাকরিতে মিলবে অগ্রাধিকার
কলকাতা:

রাজ্যে সরকারি চাকরির অবস্থা নিয়ে অসন্তোষ বহুকালই হল সীমা ছাড়িয়েছে। এরই মধ্যে সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গে সরকারি চাকরিতে নানা পদে অগ্রাধিকার পাবেন সেইসব ব্যক্তিরাই যাদের পরিবারের বার্ষিক আয় ৮ লাখ টাকার নীচে। সংশ্লিষ্ট তপশিলী জাতি, উপজাতি ও অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ কর্মসূচির আওতার মধ্যে যারা পড়ছেন না তাঁদেরই রাজ্য সরকারের সিভিল পোস্ট ও সেবার পদে সরাসরি নিয়োগে (direct recruitment in civil posts and services) ১০ শতাংশ সংরক্ষণ মিলবে এবং রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভর্তির ক্ষেত্রেও তাঁদের এই বিশেষ সংরক্ষণের সুবিধা থাকবে।

সরকারি ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “বার্ষিক পারিবারিক আয় ৮ লাখ টাকার থেকে কম হতে হবে এবং সেই আয় সমস্ত রকমের চাকরি বা ব্যবসা বা আয়েরর সূত্র মিলিয়েই হতে হবে অর্থাৎ কৃষি, ব্যবসা, পেশা ইত্যাদির আয় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।” এই সংরক্ষণের সুবিধা পাওয়ার অন্যতম মানদণ্ডই হল মোট বার্ষিক আয়। 

বন্যার কবলে অসম, প্রভাবিত ৪৩ লক্ষ মানুষ, রইল ১০ টি তথ্য

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সরকারি চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে সাধারণ বিভাগের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল (EWS) মানুষদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণ ঘোষণার ছয় দিন পর, ৯ জুলাই এই বিজ্ঞপ্তিটি জারি করা হয়। দেশে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার একই প্রস্তাব অনুমোদনের পর ছয় মাস পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, যে পরিবারের পাঁচ একর অথবা তার বেশি কৃষি জমি নেই, অথবা ১,০০০ বর্গফুট বা তার উপরে আবাসিক ফ্ল্যাটের মালিকানা রয়েছে, তাঁরাই এই সংরক্ষণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আরও বলা হয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট পৌরসভার অন্তর্গত অঞ্চলে ১০০ বর্গ গজ এবং তার উপরে আবাসিক জমি না থাকা ব্যক্তিরা ১০ শতাংশ সংরক্ষণ পাওয়ার যোগ্য হবেন। 

প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরেই প্রকাশিত হল যশবন্ত সিনহার আত্মজীবনী

এছাড়াও ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যাদের কাছে ওই সংশ্লিষ্ট পৌরসভা ছাড়া অন্য এলাকায় ২০০ বর্গ গজ এবং তার উপরে আবাসিক জমি নেই, তারাও আবেদনের যোগ্য হবেন। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, “বিভিন্ন স্থানে একটি পরিবারের আওতায় থাকা বিভিন্ন সম্পত্তি গুলো মিলিয়ে তারপরেই অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির (Economically Weaker Section) স্থিতি নির্ধারণ করা হবে।”

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে যে, অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির ক্ষেত্রে সংরক্ষণের সুবিধা পেতে হলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, উপ-বিভাগীয় কর্মকর্তা বা কলকাতা পুরসভার এলাকার ক্ষেত্রে ডিডব্লিউও কর্তৃক প্রদত্ত আয় এবং সম্পত্তির শংসাপত্র জমা দিতে হবে।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.