তবলিগ-ই-জামাতের প্রতি ক্ষোভপ্রকাশ করলেন প্রাক্তন আমলারা।
হাইলাইটস
- ১০১ জন প্রাক্তন আমলা এই চিঠি লিখেছেন
- তাবলিগ-ই-জামাত সম্মেলনের সমালোচনা করেছেন তাঁরা
- এই ঘটনা নিন্দনীয়, উল্লেখ করেন চিঠিতে
নয়া দিল্লি: দেশব্যাপী মুসলিম নির্যাতনের অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি পাঠালেন প্রাক্তন আমলারা। ১০১ জন প্রাক্তন আমলা সেই চিঠিতে মুসলিম নির্যাতনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তবলিগ-ই-জামাত সম্মেলন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সেই আমলারা। নিজামুদ্দিনের (Nizamuddin case) ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়, চিঠিতে এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সংবাদ মাধ্যমের একাংশকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। তাঁদের (Ex-Bureacrats) অভিযোগ, "সংবাদ মাধ্যমের একাংশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সংক্রমণের প্রভাব বাড়ার জন্য মুসলিমদের দোষারোপ করছে। এই ঘটনা অত্যন্ত অসংবেদনশীল আর দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়।" যে ১০১ জন আমলা চিঠি লিখেছেন, তাঁদের মধ্যে আছেন, প্রাক্তন ক্যাবিনেট সচিব কেএম চন্দ্রশেখর, প্রাক্তন আইপিএস এস দুলত আর জুলিও রিবেরিও, প্রাক্তন তথ্য ও সম্প্রচার অধিকর্তা বি হাবিবুল্লা, দিল্লির প্রাক্তন উপ-রাজ্যপাল নাজিব জং আর প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এসওয়াই কুরেশি।
ডিএ বৃদ্ধি স্থগিতের সিদ্ধান্তে কেন্দ্রের সমালোচনায় মনমোহন সিং, রাহুল গান্ধি
সেই চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এই সংক্রমণের জেরে মানুষের মনে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আর এই সুযোগে মুসলিমদের সামাজিক ভাবে দূরে রাখা হচ্ছে। যুক্তি দেখিয়ে বলা হচ্ছে, এতে অন্যদের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচান সম্ভব। সেই চিঠিতে পরামর্শ, "এই বিপর্যয় মানুষের মনের স্থিতিশীলতা নষ্ট করে দিয়েছে। তাই আমাদের একজোট হয়ে, একে অপরের পাশে থেকে বিপর্যয় মোকাবিলা করতে হবে।" মুখ্যমন্ত্রীদের উদ্দেশে আমলাদের বার্তা, "সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নাগরিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আপনারা ধর্মনিরেপেক্ষ প্রশাসকের ভূমিকা পালন করুন।"
করোনাকে জয় না করা পর্যন্ত আমাদের ঘরই হোক মন্দির-মসজিদ: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকের শীর্ষপদে কাজ করা এই আমলারা জানিয়েছেন, তাঁরা কোনও দলের সমর্থক নয়। পাশাপাশি তাঁরা বলেন, "অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি দিল্লির নিজামুদ্দিন সম্মেলনের পর থেকেই মুসলিমদের ওপর নির্যাতন বেড়েছে। তাই প্রশাসক হিসেবে আপনাদের প্রতি এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।"
মার্কাজের ঘটনায় কীভাবে দেশ-বিদেশ থেকে অনুদান এসেছে খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা