হাইলাইটস
- রোববার দিল্লির বুরারিতে একই পরিবারের 11 জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়
- পুলিশের দাবি, এটি একটি গণ আত্মহত্যা। এর সঙ্গে তন্ত্রসাধনার যোগ আছে
- বাড়ির এক দেওয়াল থেকে বেরিয়ে আসা 11'টি মুখখোলা পাইপ পায় পুলিশ
নিউ দিল্লি: দিল্লিতে একই পরিবারের এগারোজনের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই সামনে আসছে একের পর এক অদ্ভুত এবং হাড় হিম করা তথ্য। তাদের মধ্যে একটি হল, বাড়ির একটি দেওয়াল থেকে 11’টি মুখখোলা পাইপ বাইরের দিকে দেওয়াল ফুঁড়ে বের করে দেওয়া হয়েছিল। তদন্তকারী অফিসাররা যা দেখে বিস্মিত হয়েছেন, তা হল, উত্তর দিল্লির বুরারির ওই বাড়িটিতে রোববার সকালে পরিবারের সমস্ত সদস্যের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করার আগেরদিন পর্যন্ত বাড়ির ওই দিকটায় জল বেরিয়ে যাওয়ার কোনও ব্যবস্থা ছিল না। সকলেরই দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
একজনকে ছাড়া।
তিনি ওই পরিবারের সবথেকে বয়স্ক সদস্য। 77 বছরের নারায়ণ দেবী। তাঁর দেহ উদ্ধার হয় ঘরের মেঝে থেকে। তাঁর শরীরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার স্পষ্ট চিহ্ন ছিল।
বাকি যে 10 জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়, তাঁদের মধ্যে নারায়ণ দেবীর কন্যা প্রতিভা (57), দুই পুত্র ভবনেশ ভাটিয়া (50) ও ললিত ভাটিয়া (45) সহ পরিবারের বাকিদের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়।
ভবনেশের স্ত্রী সবিতা (48) এবং তাঁর তিন সন্তান মিনু (23), নীতু (25) এবং ধ্রুব (15)-এর দেহ উদ্ধার করা হয় ঝুলন্ত অবস্থায়। ললিত ভাটিয়ার স্ত্রী টিনা (42) এবং তাঁদের পুত্র শিবম (15)-এর দেহ উদ্ধার করা হয় একই অবস্থায়।
প্রতিভার কন্যা প্রিয়াঙ্কা (33)-র দেহও ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। গত মাসেই তাঁর বাগদান পর্ব সম্পন্ন হয়। এই বছরের শেষ দিকে হওয়ার কথা ছিল আইটি কর্মচারী প্রিয়াঙ্কার বিয়ে। নিজের বিয়ে নিয়ে খুব উত্তেজিত ছিলেন তিনি।
মুখ বাঁধা, চোখ বাঁধা এবং হাতদুটো পিছনের দিকে শক্ত করে বাঁধা অবস্থাতে উদ্ধার করা হয় বেশিরভাগ দেহ।