This Article is From Jul 03, 2018

বুরারি মৃত্যু রহস্য: মৃতের সংখ্যা 11, 11 টি পাইপ এবার 11 টি অ্যাঙ্গেল

সোমবার এই বাড়িতে তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ বাড়ির একটা দেওয়ালে 11 টা পাইপ পোঁতা অবস্থায় দেখতে পায়।এই পাইপ গুলির আদতেও কোনো দরকার ছিল বলে মনে করা হচ্ছে না

বুরারি মৃত্যু রহস্য: মৃতের সংখ্যা 11, 11 টি পাইপ এবার 11 টি অ্যাঙ্গেল

হাইলাইটস

  • গলায় দড়িই মৃত্যুর কারণ
  • পুলিশ মনে করছে অন্ধবিশ্বাসের নাম তারা আত্মহত্যা করেছে
  • আত্মীয়দের মতে এটা খুনের ঘটনা
নিউ দিল্লি:

শনিবার রাতে দিল্লির বুরারিতে একই পরিবারের 11 জন রহস্য জনক ভাবে মারা গেলেও তাদের ময়না তদন্তের রিপোর্ট কিন্তু খুবই পরিষ্কার। ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুসারে গলায় দড়ি দেওয়াই মৃত্যুর কারণ। প্রথমে ভাবা হয়েছিল যে পরিবারের বয়স্ক মহিলাকে শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করা হয়েছে, কিন্তু আসলে সেও আত্মহত্যাই করেছে। অথচ ভাটিয়া পরিবারের কাছের আত্মীয়রা কিছুতেই মানতে পারছে না যে তারা আত্মহত্যা করেছে, তারা এটিকে খুনের মামলা বলেই মনে করছে। এই ঘটনার পরের দিন পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে ঘরের দেওয়ালে পোঁতা এগারোটা পাইপের সন্ধান পেয়েছে, আর এবার উঠে এল জালনায় লাগানো এগারোটা অ্যাঙ্গেলর রহস্য।এই পরিবারের মৃত ব্যক্তিদের পরিচয় জেনে নিন- পরিবারের বয়জ্যেষ্ঠ নারায়ণ দেবীর বয়স ছিল 77 বছর, তার মেয়ে প্রতিভা, 57, ছেলে ভবনেশ, 50, এবং ললিত ভাটিয়া, 45, এবং তাদের পরিবার রয়েছে।প্রতিভার মেয়ে প্রিয়াঙ্কা (33 ) ভবনেশের স্ত্রী সবিতা, 48, এবং তাদের তিন সন্তান মিনু, 23, নীতু, 25, এবং 15 বছরের ছেলে ধ্রুবকেও ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ললিত ভাটিয়ার স্ত্রী টিনা, 42, এবং তাদের 15 বছরের ছেলে শিবম-কেও একই অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। গত মাসে প্রিয়াঙ্কার বাগদান পর্ব সমাপ্ত হয়েছে, এই বছরের শেষে তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।

 

burari

সোমবার এই বাড়িতে তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ বাড়ির একটা দেওয়ালে 11 টা পাইপ পোঁতা অবস্থায় দেখতে পায়।এই পাইপ গুলির আদতেও কোনো দরকার ছিল বলে মনে করা হচ্ছে না।এরই মধ্যে মন্ত্র-তন্ত্রের সাথে সম্পর্কিত 11 টি এঙ্গেলের সন্ধান পাওয়া গেছে।যদিও আলো আসার পথে এই 11 টি এঙ্গেলের ভূমিকা নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো রকম রহস্যোদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়নি। যে 11 টা পাইপ পাওয়া গেছিল তার মধ্যে 4 টি বড়ো এবং সোজা আর বাকি গুলির মুখ নিচের দিকে বাঁকানো।এর মধ্যে একটি বাঁকা পাইপের মুখ সর্বাধিক নিচের দিকে গেছে তার অভিমুখ পাশের খালি জমির দিকে।

তন্ত্র-মন্ত্র এবং আধ্যাত্মিক চেতনার জন্যই এই পাইপ গুলি লাগানো হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। কমরপাল নামক যে ঠিকেদার এই বাড়ি নির্মাণের কাজ করেছিল, কোনো মতে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে, সে জানিয়েছে যে, তিন মাস ধরে এই বাড়ি তৈরির কাজ চলছিল, এই বাড়ির কোনো প্ল্যান ছিল না, ললিতের হিসাব মতোই সম্পূর্ণ বাড়িটি নির্মাণের কাজ চলছিল।কিন্তু প্রাপ্ত খবর অনুসারে ললিত বাড়ির অন্য সদস্যদের সাথে পরামর্শ করার পরেই বাড়ির কাজ কিভাবে হবে তা জানাতেন। 

কমরপাল জানিয়েছেন যে, ললিতের কথা মতই পাইপ লাগানো হয়েছিল। সেখানে পাইপের কোনো দরকার ছিল না সেকথা কমরপাল ললিতকে জানিয়েছিলেন, কিন্তু ললিতের কথা মতো তিনি সেখানে পাইপ লাগাতে বাধ্য হন। 

তিনমাস ধরে এই বাড়ির কাজ চলছিল, তার দরুন কমরপাল তাদের কাছ থেকে এক লক্ষ টাকাও পাবে।তদন্ত অনুসারে এখনও পর্যন্ত যতটা জানা গেছে, তা অনুসারে ললিতের আধ্যাত্মিক চেতনাই  সবচেয়ে বেশি ছিল, এবং ললিত ও তাঁর স্ত্রীর হাত উন্মুক্ত পাওয়া গেছে।

ললিতের পরিবারের এক ঘনিষ্ট ব্যক্তি জানিয়েছেন যে, পরিবারের সকলেই বালাজীর ভক্ত ছিল।  যদিও মন্ত্র-তন্ত্র সংক্রান্ত বিষয় গুলি সম্পর্কে তিনি ততটা ওয়াকিবহাল নন। তবে সেই বাড়ি থেকে পুলিশ যে সমস্ত লিখিত তথ্য উদ্ধার করেছে তাতে মৃত্যু ও মোক্ষ লাভ সম্পর্কিত যে বিষয় গুলির উল্লেখ আছে, সেই অনুসারেই মারা গেছে বাড়ির লোকেরা।  

.