NIEPA-র এক কর্তা জানান, সার্বিক এই বৃদ্ধির পিছনে বিভিন্ন কারণই থাকতে পারে
নিউ দিল্লি: বেটি পড়াও হোক বা সর্বশিক্ষা অভিযান- কেন্দ্রের কোনও প্রকল্পই কমাতে পারছে না দেশের স্কুলেজুড়ে ড্রপ আউটের হার। সোমবার সংসদে শিক্ষা মন্ত্রীর পেশ করা তথ্য অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, দেশের স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যে ক্রমেই বাড়ছে স্কুলছুট হওয়ার সংখ্যা। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশনাল প্ল্যানিং অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনআইইপিএ) দ্বারা তৈরি করা এই তথ্য সংকলন অনুযায়ী, প্রাথমিক, উচ্চপ্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক- সমস্ত বিদ্যালয়গুলিতেই স্কুলছুটের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকার লোকসভায় ওঠা একটি প্রশ্নের জবাবে ২০১৪-২০১৫ এবং ২০১৬-২০১৭ বর্ষের স্কুলছুটের তথ্য প্রকাশ্যে উপস্থাপন করেছেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্কুলছুটের সংখ্যা গত তিন বছর ধরে ক্রমবর্ধমান। প্রাথমিক ও উচ্চপ্রাথমিকে গত বছর (২০১৬-২০১৭) থেকে স্কুল ছুটের হার বেড়েছে। পূর্ববর্তী বছরের (২০১৫-২০১৬) তুলনায় বেড়েছে এই ড্রপ আউটের সংখ্যা। কিন্তু এত পরিকল্পনা সত্ত্বেও কেন দেশজুড়ে বাড়ছে স্কুলছুটের সমস্যা? তার সদুত্তর অবশ্য দিতে পারেননি মন্ত্রীমশাই।
প্রাইমারি স্তরের শিক্ষকদের সেকেন্ডারিতে পাঠাতে রাজ্য তৎপর: পার্থ
সোমবার সংসদে এইচআরডি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত তথ্য
আগের বছরের তুলনায় ২০১৬-২০১৭ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুলছুট শিশুদের সংখ্যা ২ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছিল। ৬.৩৫ শতাংশ থেকে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪০.১৩ শতাংশ।
উচ্চপ্রাথমিক স্কুলে এই ড্রপ আউটের সংখ্যা একই সময় ১.৫ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ড্রপআউটের হার ৪.০৩ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫.৬৭ শতাংশ।
মাধ্যমিক স্কুলের ক্ষেত্রে ২০১৪-২০১৫ সালের ২০.১৪ শতাংশ স্কুলছুটের হারের তুলনায় ২০১৬-২০১৭ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২২.১৩ শতাংশ। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের মধ্যেও ড্রপআউট একই সময়ে বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে এখানে পার্থক্য প্রায় ১০ শতাংশ। এই বিভাগের ড্রপআউট হার ৪.৩৩ শতাংশ থেকে ১৩.০৯ শতাংশ বেড়েছে।
২০১৫-২০১৬ সালে স্কুলছুটের সংখ্যা সামান্য কমেছিল। কিন্তু ২০১৬-২০১৭ সালে সার্বিকভাবে এই হার বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩.০৯ শতাংশ। NIEPA-র এক কর্তা জানান, সার্বিক এই বৃদ্ধির পিছনে বিভিন্ন কারণই থাকতে পারে।
মোটা হওয়া নিয়ে সচেতন নয় পড়ুয়ারা! রাজ্যের স্কুলে পাঠ্যক্রমে যোগ হচ্ছে স্বাস্থ্য সচেতনতা
ওই কর্তা বলেন, “এর একটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে, গত বছর মোট স্কুলের সংখ্যা এবং কত শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে তার সংখ্যা। কিছু রাজ্যে হতেও পারে যে তারা স্কুলের সংখ্যাই কমিয়ে ফেলেছে। যারা সমীক্ষা করেছেন, তাঁরা কীভাবে তথ্য নিয়ে আসছেন তার উপরেও অনেক কিছু নির্ভর করে।”
কোনও নির্দিষ্ট স্কুলে নির্দিষ্ট শিক্ষাবর্ষে নথিভুক্ত শিক্ষার্থীর অনুপাতের পরিমাণ আর পরের বছর তাঁদের নথিভুক্ত নামের সংখ্যা মাথায় রেখে স্কুলছুটের হার নির্ধারিত হয়।
এনআইইপিএর শিক্ষা সংক্রান্ত ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (ইউ-ডিআইএসই) এর মাধ্যমে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে সকল স্কুল (সরকারি, সাহায্যপ্রাপ্ত এবং ব্যক্তিগত) থেকে ড্রপআউট হার সহ বিভিন্ন শিক্ষাসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে।