Read in English
This Article is From Jul 06, 2018

বুরারির পরিবারটির কয়েকজন ঘনিষ্ঠকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করল দিল্লি পুলিশ

দিল্লি পুলিশ এই ব্যাপারে বিদ্যাসাগর ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরোসায়েন্সেসের বিশেষজ্ঞদের থেকে সহায়তা নিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Translated By

বুরারি মৃত্যুরহস্য: এত বছর ধরে ললিতের কথায় বিশ্বাস করে এসেছিল গোটা পরিবার।

Highlights

  • যে 13 জন অতিথি পরিবারের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন তাঁদের প্রশ্ন করবে পুলিশ
  • প্রিয়াঙ্কার বাগদানের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন ওই অতিথিরা
  • পরিবারটির মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে জানার জন্য আত্মীয়দের সঙ্গে কথা
নিউ দিল্লি:

তদন্তে নতুন নতুন বাঁক নেওয়া যেন ফুরোচ্ছেই না উত্তর দিল্লির বুরারিতে। 11 জনের পরিবারের সকল সদস্য রীতিমতো পরিকল্পনা করে একটি আধ্যাত্মিক গণ আত্মহত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে এতদিনে তদন্ত থেকে জানতে পারা গিয়েছিল। এবার, তদন্ত প্রক্রিয়াকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ওই পরিবারের মনস্তত্ত্বের ময়নাতদন্ত করবে বলে সিদ্ধান্ত নিল দিল্লি পুলিশ।

ওই পরিবারের 11 জন মৃত সদস্যের মধ্যে একজন ছিলেন প্রিয়াঙ্কা ভাটিয়া। বাকিদের মতোই তিনিও মুখ বাঁধা, ঠোঁট বাঁধা, হাত দুটো পিছনে শক্ত করে বাঁধা অবস্থায় ছাদের গ্রিল থেকে ঝুলছিলেন। গত 17 জুন বাগদান হয় তাঁর। ওই অনুষ্ঠানে ওই পরিবারের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য আরও যে 13 জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করল পুলিশ।

যে অতিথিরা ওই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন, তাঁরা 23 জুন চলে যান। ঠিক এই ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটার এক সপ্তাহ আগে।

“মনস্তত্ত্বের ময়নাতদন্ত”-এর অর্থ হল, চুন্দাওয়াত পরিবারের সঙ্গে যুক্ত এবং ওই পরিবারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে ওই পরিবারটির মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে জানার চেষ্টা করবে।

দিল্লি পুলিশ এই ব্যাপারে বিদ্যাসাগর ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরোসায়েন্সেসের বিশেষজ্ঞদের থেকে সহায়তা নিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের একটি শাখা রাজস্থানের উদয়পুরে গিয়েছে ললিত চান্দওয়াতের স্ত্রী’র পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে। ললিত চান্দওয়াতই এই পুরো আত্মহত্যাটির পরিকল্পনা করেছিলেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। 33 বছর বয়সী প্রিয়াঙ্কার বাগদানের জন্য ‘ধন্যবাদ জ্ঞাপন’ করার কারণে ওই গণ আত্মহত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন।

যা প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তাতে এটি স্পষ্ট যে, মৃত্যুর কথা ভেবে এই ‘ধর্মীয় আচার’টি পালন করা হয়নি। বরং, পালন করা হয়েছিল, এই কথা ভেবে যে, এইভাবে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়ার পর আরও বেশি শক্তি ও ক্ষমতা বাড়বে এই পরিবার এবং তার সকল সদস্যদের।   

 

Advertisement