দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা থেকে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান 19 জন মৎস্যজীবী।
কলকাতা: বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ আরও পাঁচ মৎস্যজীবীর দেহ মিলল। এ নিয়ে মোট 14টি দেহ উদ্ধার করল উপকূলরক্ষী বাহিনী। কিন্ত এখনও খোঁজ মেলেনি পাঁচ জনের। গত সোমবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা থেকে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান 19 জন মৎস্যজীবী। তাঁদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করে উপকূলরক্ষী বাহিনী।
জানা গিয়েছে এই পাঁচ জনের দেহ দুর্ঘটনার কবলে পড়া ট্রলার জয়কৃষ্ণর মধ্যেই আটকে ছিল। আগে এই একই জায়গা থেকে আরও কয়েকজনের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল। উদ্ধারকারীদের ধারনা বাকিদের দেহও কাছাকাছির মধ্যেই আছে। সেক্ষেত্রে অল্প সময়ের মধ্যেই সেগুলি উদ্ধার হবে। তবে অন্যত্র ভেসে গিয়ে থাকলে নতুন পরিকল্পনা হাতে নিয়ে উদ্ধার কাজ শেষ করতে হবে বাহিনীকে। সেই ব্যাপারটিও মাথায় রাখা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া দেহগুলিকে চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। উদ্ধার কাজ যাতে সুষ্ঠু ভাবে হতে পারে তাঁর জন্য উপকূলরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রাখছে রাজ্য প্রশাসন ও মৎস্যজীবীদের সংগঠন। এদিকে নতুন করে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ায় মৎস্যজীবীদের আপাতত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে, এরই মধ্যে বাকি দেহগুলি উদ্ধারের কাজ চলছে।
গত সোমবার রাত দশটা নাগাদ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা থেকে প্রায় 6-7 টি ট্রলারে করে সমুদ্রে যান মৎস্যজীবীরা। কিন্ত তাঁর মধ্যে জয়কৃষ্ণ, মালেশ্বরের মতো কয়েকটি ট্রলার নিখোঁজ হয়ে যায়। বিপদের মধ্যে পড়েন 47 জন মৎসজীবী। তাঁদের মধ্যে 28 জনকে প্রাণে বাঁচানো সম্ভব হয়। অন্যদিকে, মৎস্যজীবীদের সংগঠন প্রথম থেকেই দুর্ঘটনার দায় কার্যত আবহাওয়া দফতরের উপর চাপিয়েছে। তাদের দাবি সমুদ্রে গেলে যে সমস্যার মুখে পড়তে হবে হবে এমন কোনও সতর্কবার্তা আবহাওয়া দফতরের তরফে সেদিন জানানো হয়নি। আর তাই সমুদ্রে গিয়েছিলেন ওই মৎস্যজীবীরা। কিন্ত হাওয়া অফিসের দাবি, দফতরের ওয়েবসাইটে স্পষ্ট করে বলা ছিল সমুদ্রে যাওয়া উচিত হবে না।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)