Coronavirus in India: দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা লাগাতার বেড়ে চলেছে
হাইলাইটস
- করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দেশে বেড়েই চলেছে
- এখনও পর্যন্ত একদিনে সর্বাধিক মৃত্যু হল ভারতে
- গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার শিকার ২৫ জন
নয়াদিল্লি: ভারতে একের পর এক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। এখনও পর্যন্ত এদেশে করোনায় (Coronavirus) মৃত্যু হয়েছে মোট ১৪৯ জনের, গত ২৪ ঘণ্টায় ওই রাক্ষুসে ভাইরাসের (Coronavirus Death) সংক্রমণে মৃত ২৫ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮৫ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্ত ৫,২৭৪ জন। এখনও পর্যন্ত একদিনে সর্বাধিক সংখ্যক মৃত্যুর (Coronavirus In India) ঘটনা ঘটল এদেশে। ফলে আতঙ্ক বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। তবে এরই মধ্যে সুখবর, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪১১ জন। করোনা সংক্রমণ এড়াতে টানা ২১ দিনের লকডাউন চলছে। তারমধ্যেও একের পর এক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন ওই মারণ রোগে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর হারও। আগামী ১৪ এপ্রিল দেশের লকডাউন পর্ব শেষ হওয়ার কথা। তবে যে হারে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তা বিবেচনা করে এই লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়তে পারে বলেই অনেকে মনে করছেন।
করোনা রোগীদের সারাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা, বাড়ছে সংকট
ইতিমধ্যেই বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য ইঙ্গিত দিয়েছে যে ১৪ এপ্রিলের পরেও তারা লকডাউন চালিয়ে যেতে চায়। একটি সরকারি সূত্র জানিয়েছে যে এই রাজ্যগুলির দেওয়া প্রস্তাবও বিবেচনা করছে কেন্দ্র। সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন যে সঠিক সময়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে "জাতীয় স্বার্থে" এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গত ২৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ২১ দিনের লকডাউন হওয়ার ঘোষণা করেন।
করোনার অজুহাতে বলির পাঁঠা করা হচ্ছে মুসলিমদের, বিজেপিকে দুষলেন আসাউদ্দিন ওয়াইসি
তেলেঙ্গানা, যে রাজ্যটি প্রথম চলতি লকডাউনের মেয়াদ সম্প্রসারণের পরামর্শ দিয়েছিল, তারা বলছে যে বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ নামে একটি সংস্থা সমীক্ষা করে তাদের জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতি ও সংক্রমণের হার বিবেচনা করে আগামী ৩ জুন পর্যন্ত লকডাউন জারি করা উচিত। মঙ্গলবার তেলেঙ্গানার মন্ত্রী কেটি রামা রাও NDTV-কে জানিয়েছেন যে ওই সংস্থার সমীক্ষা অনুসারে আগামী ১ জুনের মধ্যে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রচুর বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে আরও সতর্ক হওয়ার সময় এখন।
শুধু তেলেঙ্গানাই নয়, অসম এবং ছত্তিশগড়ও বলেছে যে তারা করোনা সংক্রমণের মোকাবিলা করার জন্যে রাজ্যের সীমান্ত অঞ্চল দীর্ঘদিনের জন্যে বন্ধ করে রাখতে চায়। আর যদি বা তা খোলাও থাকে তবে সেখান দিয়ে কেবলমাত্র সীমাবদ্ধ প্রবেশের অনুমতি দিতে চায় ওই রাজ্য দুটি।