Read in English
This Article is From Aug 18, 2018

কলকাতায় ফের অঙ্গদান- কিশোরীর অঙ্গে বাঁচছেন পাঁচ জন রোগী

15 বছর বয়সী এক কিশোরীর মস্তিষ্কের মৃত্যুর পর তাঁর দুটি কিডনি, লিভার, কর্নিয়া এবং চামড়া প্রতিস্থাপিত হল অন্যের দেহে।

Advertisement
Kolkata

15 বছরের ওই কিশোরী চারদিন আগেই কোমায় চলে যায়

কলকাতা :

মৃত্যুর পরে জীবন না থাকুক, কোনও কোনও মৃত্যু জীবনের কারণ হয়ে ওঠে। ঠিক যেমন নজির আবার দেখল এই শহর কলকাতা। 15 বছর বয়সী এক কিশোরীর মস্তিষ্কের মৃত্যুর পর পাঁচ জন ব্যক্তি নতুনভাবে বাঁচার কারণ খুঁজে পেলে। সৌজন্যে, অঙ্গ দান। ওই কিশোরীর দুটি কিডনি, লিভার, কর্নিয়া এবং চামড়া প্রতিস্থাপিত হল অন্যের দেহে।

এসএসকেএম হাসপাতাল বা ইন্সটিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইপিজিএমইআর) কর্তৃপক্ষ জানান, শুক্রবার মস্তিষ্কের মৃত্যু ঘটে মল্লিকার। মস্তিষ্কের ক্ষত নিয়ে গত 23 শে জুলাই ভর্তি হওয়ার পর 14 আগস্ট কোমাতে চলে যান মল্লিকা।

তাঁর বাবা মানিক মজুমদার শিলিগুড়ি থেকে ফোনে বলেন, "ডাক্তাররা বলেছিলেন যে আমাদের মেয়েকে বাঁচানোর কোনও সম্ভাবনা নেই। আমরা তখন ঠিক করলাম যে তাঁর শরীরের অঙ্গগুলি অন্য ব্যক্তিদের দান করলে তাঁদের মধ্যেই তো বেঁচে থাকবে আমাদের মেয়ে। এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় সান্ত্বনা।"

Advertisement

শুক্রবার মধ্যরাতে এসএসকেএম হাসপাতালে মল্লিকা মজুমদারের থেকে পাওয়া দুটি কিডনি সফলভাবে প্রতিস্থাপিত হয়েছে দুই রোগীর শরীরে, জানিয়েছেন অর্গ্যান ট্রান্সপ্ল্যানটেনশনের নোডাল অফিসার অদিতি কিশোর সরকার।

এসএসকেএম সূত্রের খবর, উত্তর 24 পরগনার সোদপুরের বাসিন্দা সঞ্জীব দাস এবং খড়দার বাসিন্দা মৌমিতা চক্রবর্তী পেয়েছেন দুটি কিডনি। এসএসকেএমের একজন রোগীকে দান করা হয়েছে মল্লিকার কর্নিয়া, ওই হাসপাতালেই আগুনে পোড়া এক রোগী পেয়েছেন তাঁর ত্বক।

Advertisement

এসএসকেএমে অন্য সমস্ত অঙ্গেরই সফল প্রতিস্থাপন হয়েছে, কেবল লিভারের প্রতিস্থাপনের জন্য ই এম বাইপাসের একটি হাসপাতালে ব্যবস্থা করা হয়। হায়দরাবাদ থেকে গত রাতেই চিকিৎসার জন্য 44 বছর বয়সী এক এই শহরে আসেন। পাঁচ ঘণ্টার দীর্ঘ অপারেশনের পরেই সফলভাবে লিভার প্রতিস্থাপিত হয় তাঁর শরীরে, জানিয়েছে বেসরকারি ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের সক্রিয় প্রচেষ্টারও প্রশংসা করতেই হয়। রাজু স্বাস্থ্য বিভাগ আঞ্চলিক অঙ্গ ও টিস্যু ট্রান্সপ্লান্ট সংস্থার সঙ্গে অঙ্গদান বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির কাজ করে চলেছে।

"এই ঘটনা মস্তিষ্ক-মৃত রোগীদের অঙ্গদান এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি সম্পর্কে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে," বলেন তিনি।

Advertisement

কিডনি প্রাপক সঞ্জীব দাসের এক আত্মীয় বলেন, "আমি মল্লিকার বাবা-মা এবং ডাক্তারদের ধন্যবাদ জানিয়ে ছোট করব না, এই কৃতজ্ঞতা ভাষায় প্রকাশের নয়।"

চার মাস আগে, এপ্রিলে এই শহরে শেষবার অঙ্গদান হয়েছিল।

Advertisement