Lok Sabha Elections 2019: প্রাক্তন সেনাপ্রধান শংকর রায় চৌধুরী দীপক কাপুর সহ অনেকেই রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হয়েছেন
হাইলাইটস
- চিঠিতে লেখা হয়েছে সেনাবাহিনীর সর্বময় কর্তা রাষ্ট্রপতি
- উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে চিঠিতে
- যোগী ভারতীয় সেনাকে মোদিজীর সেনা বলে অভিহিত করেন
নিউ দিল্লি: লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2019) প্রচারে (Campaign) রাজনৈতিক দলগুলি যেভাবে সশস্ত্র বাহিনীর (Arm Forces) প্রসঙ্গ টেনে আনছে তা নিয়ে অনেক দিন ধরেই সমালোচনা স্বর ধ্বনিত হচ্ছে বিভিন্ন মহলে। এবার সরব হল সেনাবাহিনীর প্রাক্তনীদের (Arm Veteran) একটা বড় অংশ। জানা গিয়েছে বিভিন্ন সময় সেনাবাহিনীতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন এমন ১৫৬ জন অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক রাষ্ট্রপতি (President) রামনাথ কোবিন্দকে (Ram Nath Kovind) একটি চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে তাদের দাবি রাজনৈতিক দলগুলি যাতে রাজনৈতিক কারণে এবং রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে সেনাদের ব্যবহার করতে না পারে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তালিকায় অন্যদের সঙ্গেই আছেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান শংকর রায় চৌধুরী দীপক কাপুর সহ অনেকে। নৌ বাহিনীর প্রাক্তন প্রধানও (Ex Navy Chief) স্বাক্ষর করেছেন চিঠিতে।
চিঠিতে লেখা হয়েছে সেনাবাহিনীর সর্বময় কর্তা রাষ্ট্রপতি। তাই তাঁর দ্বারস্থ হয়েছেন প্রাক্তনীরা। রাজনৈতিক দলের নেতারা যেভাবে সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনের কৃতিত্ব নিচ্ছেন তা একদিকে অস্বাভাবিক অন্যদিকে এসব মেনে নেওয়ার কোন প্রশ্ন ওঠে না। এসব বন্ধ হওয়া আবশ্যক।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে চিঠিতে। কিছুদিন আগে একটি নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে যোগী ভারতীয় সেনাকে মোদিজীর সেনা বলে অভিহিত করেন। এই মন্তব্যের পর দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। প্রতিক্রিয়া দেয় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এবার সেনা প্রাক্তনীদের একটা অংশও এ ব্যাপারে সরব হলেন। আগেই অবশ্য নির্বাচন কমিশন যোগীকে এ ধরনের মন্তব্য করার জন্য নোটিশ পাঠিয়েছে।
সেনা প্রাক্তনীদের এই চিঠি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে কংগ্রেস। দলের তরফে টুইট করে বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী সেনাকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা পাওয়ার চেষ্টা করতেই পারেন। কিন্তু এটা স্পষ্ট যে ভারতীয় সেনা দেশের মানুষের সঙ্গেই আছে, বিজেপি সঙ্গের নেই।নির্বাচনের প্রচারে বায়ু সেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের ছবি ব্যবহার নিয়েও প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন প্রাক্তনীরা। নির্বাচন কমিশন অবশ্য এক্ষেত্রেও আগেই জানিয়েছে অভিনন্দন বর্তমানের ছবি থেকে শুরু করে কোনও কিছুই নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা যাবে না।কমিশনের নির্দেশ না মানায় শাস্তির মুখেও পড়তে হয়েছে অনেককে। দিল্লির বিজেপি সভাপতি মনোজ তিওয়ারি সেনার পোশাকে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। সদ্য কংগ্রেসে যোগ দেওয়া উর্মিলা মাতণ্ডকরও নির্বাচনী প্রচারে অভিনন্দনের প্রসঙ্গ টেনে আনা সমালোচিত হয়েছেন।