This Article is From Jan 16, 2020

প্রায় ১৫০ দিন গৃহবন্দি থাকার পর অবশেষে মুক্ত জম্মু-কাশ্মীরের ৫ রাজনীতিবিদ

তবে সে রাজ্যের তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহ, তাঁর পুত্র ওমর আব্দুল্লাহ আর পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি গৃহবন্দিই থাকবেন।

প্রায় ১৫০ দিন গৃহবন্দি থাকার পর অবশেষে মুক্ত জম্মু-কাশ্মীরের ৫ রাজনীতিবিদ

৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল উপত্যকায়।

হাইলাইটস

  • পয়লা জানুয়ারি মুক্তি দেওয়া হয়েছে ওই পাঁচ জনকে
  • তাঁদের মধ্যে শ্রীনগর পুরসভার প্রাক্তন মেয়র আছেন
  • তবে গৃহবন্দি থাকবেন জম্মু -কাশ্মীরের প্রাক্তন তিন মুখ্যমন্ত্রী
শ্রীনগর:

তিন প্রাক্তন বিধায়ক-সহ মোট ৫ জন রাজনীতিবিদকে পয়লা জানুয়ারি মুক্তি দিয়েছে জম্মু- কাশ্মীর প্রশাসন। প্রায় ১৬০ দিন ধরে তাঁরা গৃহবন্দী (Detention) ছিলেন। সূত্রের তরফে জানা গিয়েছে, ৫ অগাস্ট থেকে প্রায় শতাধিক রাজনীতিবিদকে গৃহবন্দি করেছিল কেন্দ্র সরকার। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ব্যবহারে। অবাধ বিচরণ রুখতে জারি ছিল ১৪৪ ধারা। ধীরে ধীরে সরকারি সেসব বিধিনিষেধ তুলে নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই কৌশলের অংশ হিসেবে এই পাঁচ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এদিন এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে এ কথাই বলেছে সংবাদসংস্থা পিটিআই। জানা গেছে, এনসি'র তিনজন আর পিডিপির দু'জনকে মুক্ত করা হয়েছে। এনসির যে তিনজনের এদিন বন্দিদশা ঘুচেছে, তাঁরা হলেন: আলতাফ কালু, শওকত গনাই এবং সলমন সাগর। পাশাপাশি পিডিপির নিজামুদ্দিন ভাট আর মুখতার বাঁধকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সলমন সাগর, শ্রীনগর পুরসভার প্রাক্তন মেয়র ছিলেন।তবে সে রাজ্যের তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহ, তাঁর পুত্র ওমর আব্দুল্লাহ আর পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি গৃহবন্দিই থাকবেন।

প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে প্রতিহত বড় জঙ্গি হানা, জানাল জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ

কবে নাগাদ তাঁদের মুক্তি দেওয়া হবে, স্পষ্ট করেনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আপাতত হরি নিবাসে গৃহবন্দি ওমর আব্দুল্লাহ। তাঁকে বৃহস্পতিবার শ্রীনগরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, পয়লা জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছেন ওই পাঁচ জন। অবিলম্বে উপত্যকায় গৃহবন্দীদের মুক্তির দিতে বিশ্বব্যাপী রব উঠেছে। সেই দাবি মেনেই কিছুটা এই পদক্ষেপ। পাশাপাশি গত শুক্রবার সে রাজ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।

অবিলম্বে নেট ব্যবহার ফেরাতে নির্দেশ দিয়েছিল তারা। এভাবে নেট বন্ধ রেখে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করছে প্রশাসন, কটাক্ষ করেছিল শীর্ষ আদালত। এমনকি, জমায়েত রুখতে ব্রিটিশ আমলের ১৪৪ ধারার ঘনঘন ব্যবহার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল আদালত। সেই সব দিক খতিয়ে দেখে সে রাজ্যে ধীরে ধীরে নেট ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা তোলা হচ্ছে। পাশাপাশি মুক্ত করা হচ্ছে রাজনীতিবিদদের। 


(PTI থেকে সংগৃহীত)     

.