This Article is From Aug 03, 2019

১৯৫২’র রেকর্ড ভেঙে নজির সপ্তদশ লোকসভার, তিন দিন বাকি থাকতেই পাস ৩০টি বিল

সরকার পক্ষ যখন সপ্তদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশনে এতগুলি বিল পাসকে সাফল্য বলে তুলে ধরতে মরিয়া, তখন বিরোদীদের গলায় ভিন্ন সুর

১৯৫২’র রেকর্ড ভেঙে নজির সপ্তদশ লোকসভার, তিন দিন বাকি থাকতেই পাস ৩০টি বিল

সেবার ৬৪ দিনে ২৭টি বিল (bills) লোকসভায় পাস করা হয়েছিল

হাইলাইটস

  • First Lok Sabha session of PM Modi's second term passes 30 bills
  • Opposition has accused BJP of "steamrolling" key pieces of legislation
  • Derek O'Brien asked if parliament was delivering pizzas or passing laws
নিউ দিল্লি:

নজির গড়ছে সপ্তদশ লোকসভা(17th Lok Sabha)। অধিবেশনের বাকি এখনও ৩ দিন। তার আগেই পাস হয়ে গিয়েছে ৩০ বিল (bills)। সরকার পক্ষের দাবি ১৯৫২ সালের পর সপ্তদশ লোকসভার (17th Lok Sabha) প্রথম অধিবেশনের কার্যকলাপ সবচেয়ে সফল। সেবার ৬৪ দিনে ২৭টি বিল (bills) লোকসভায় পাস করা হয়েছিল। কথায় বলে গণতন্ত্রের পীঠস্তান সংসদ। যার উপর দেশবাসীর আস্থা ফিরিয়ে আনতে এহেন তৎপরতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। সপ্তদশ লোকসভার এই সাফল্য বিষয়ে এনডিটিভিকে স্পিকার ওম বিড়লা(Speaker Om Birla) বলেন, "জনগণকে অবশ্যই জানতে হবে সংসদ কাজ করছে এবং কাজ হচ্ছে। আমাদের লোকদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশবাসীর আমাদের থেকে প্রচুর প্রত্যাশা।"

সংসদীয় কাজে অভিজ্ঞ দু'বারের সাংসদ ওম বিড়লা। সাংসদ বিড়ালার কাজের প্রতি একাগ্রতা নজর এড়ায়নি মোদী-শাহ জুটির। সপ্তদশ লোকসভায় তাই কর্তব্যপরায়ণ ওই মানুষটিকেই লোকসভার স্পিকার (Speaker Om Birla) হিসাবে মনোনিত করা হয়। সংসদের নিম্নকক্ষের সচলতার পিছনে ওম বিড়লার দক্ষ সভা পরিচালনাকেও অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

মোদীর মন্ত্রিসভার এক প্রবীণ মন্ত্রী এনডিটিভিকে বলেন, ‘স্পিকার বিড়ালা(Speaker Om Birla) সংসদ চলাকালীন প্রত্যেকদিন সকাল সাড়ে নয়টায় সংসদে আসেন। ফেরেন সভা মুলতুবির প্রায় এক ঘন্টা পর। যেদিন যে বিষয়ের উপর বিল পেশ হয় তার আগে সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিবের সঙ্গে প্রস্তাবিত বিল ও তা আইনে পরিণত হলে কি হতে পারে তার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।' মন্ত্রীর সংযোজন, ‘এযাবৎকালে আমরা এইধরণের স্পিকার দেখিনি যিনি আইনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করছেনষ।'

স্পিকারের সক্রিয়তা ও দক্ষ হাতে সভা পরিচালনা তো রয়েইছে। পাশাপাশি লোকসভায় ভালো কাজ হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর(PM Modi) মানসিকতাকেও বাহবা দিচ্ছেন অনেকে। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই সংসদ সদস্যদের নিযমানুবর্তীতা, শৃঙ্খলা ও কাজের প্রতি একাগ্রতার কথা তুলে ধরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর জুলাই মাসে মন্ত্রীদের সংসদে এড়িয়ে চলার প্রবণতার সমালোচনা করেছিলেন মোদী(PM Modi)। বিরোধীদের দেখে নয়, জাতির বৃহত্তর স্বার্থে সাংসদ ও মন্ত্রীদের কাজ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনিষ বলেন, ‘আমরা সংসদে নির্বাচিত হয়ে আসার পর আমাদের অবশ্যই পক্ষ এবং বিপক্ষ ভুলে যাওয়া উচিত। নিরপেক্ষ চেতনার সাথে আমাদের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে চিন্তা করা উচিত এবং জাতির বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করা উচিত।'

সরকার পক্ষ যখন সপ্তদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশনে এতগুলি বিল পাসকে সাফল্য বলে তুলে ধরতে মরিয়া, তখন বিরোদীদের(opposition) গলায় ভিন্ন সুর। বিষয়টিকে তারা সংখ্যার জোরে গণতন্ত্রের হত্যা বলে মনে করছেন। বিরোধীরা(opposition) সংসদে্র স্থায়ী কমিটিতে তাৎক্ষনিক তিন তালাক(triple talaq), আরটিআই(RTI) ও ইউএপিএ(UAPA) বিল নিয়ে আলোচনার দাবি জানালেও সরকার পক্ষ তা মানেনি বলে অভিযোগ। এবিষয়ে সোচ্চার তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ও দলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও‘ব্রায়েন(Derek O'Brien)। তঁর কথায়, ‘সরকার কোনও সুরক্ষা ছাড়াই বিল পাস করাচ্ছে। তারা কি মনে করে? মুখ বন্ধ করে থাকবে বিরোধীরা?' পরে তিনি জানান, ‘গায়ের জোরে এইভাবে বিল পাস আসলে ‘পিৎজা বিতরণে'র সামিল।' 

সরকার পক্ষের এই প্রথায় বিল পাসের প্রতিবাদে একটি চিঠিতে সাক্ষর করেন ১৭ বিরোধী দলের প্রতিনিধি। তাতে সামিল হয় তৃণমূল, টিডিপি ও বিএসপি। 

তাৎক্ষনিক তিন তালাক, ইউএপিএ সহ একাধিক বিল গত বারে লোকসবায় পাস হলেও রাজ্যসভায় আটেক যায়। সংসদের উচ্চকক্ষে সংখ্যা লঘিষ্টতার কারণেই বিলগুলি আইনের মুখ দেখেনি। এনডিএ এবার লোকসভায় ৩৫২ টি আসন পেয়েছে। কংগ্রেস ও তার বন্ধু দলগুলির দখলে রয়েছে ৯১টি আসন। তবুও রাজ্যসভায় বিরোধী জোটে ভাঙন ধরিয়ে কৌশলে তিন তালাক সহ একাধিক বিল এবার পাশ করাতে সক্ষম হযেছেন মোদী। পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যসভায় এখনও এনডিএর সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই, মাত্র ৯৯ জন সদস্য তাদের। কিন্তু, ২০২১ সালের মধ্যে এনডিএ এই কক্ষে  সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যেতে পারে।

.