নিম্ন আদালত তাকে নির্দোষ বলে মুক্তি দিয়ে দেয়
হাইলাইটস
- বিচারপতির মতে, স্বাধীনতার পরে সবচেয়ে বড়ো হিংসাত্মক ঘটনা
- আরও পাঁচ জন অভিযুক্ত কে ১০ বছর করে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে
- ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সজ্জন কুমারকে আত্মসমর্পন করতে বলা হয়েছে
নিউ দিল্লি: 1984 সালের শিখ-বিরোধী দাঙ্গার মামলায় সোমবার দিল্লি হাইকোর্ট চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানালো। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত হলেন কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমার, যদিও নিম্ন আদালত তাকে নির্দোষ বলে মুক্তি দিয়ে দেয়। পীড়িত পক্ষের মানুষ ছাড়াও শিখ সম্প্রদায়ের অগণিত মানুষ অধীর আগ্রহে এই মামলার রায় শোনার জন্য অপেক্ষা করছে। 1984 সালের এই ঘটনার সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের জন্য সোমবার দিনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমন্ত্রণ পেয়েও কমলনাথের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না মমতা
এই দাঙ্গায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছিল, দিল্লি ক্যান্ট এলাকার রাজপুরে 1984 সালের পয়লা নভেম্বর সহস্রাধিক লোক জমায়েত হয়, সেখানেই শিখ সম্প্রদায়ের লোকেদের ওপর হামলা হয়। এই ঘটনার জেরে একই পরিবারের তিন ভাই নরেন্দ্র পাল সিংহ, কুলদীপ ও রাঘবেন্দ্র প্রাণ হারায়। আর এক পরিবারের গুরপ্রীত ও তার ছেলে কেহরকেও হত্যা করা হয়।
তিন রাজ্যেই কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ আজঃ ১০'টি তথ্য
দিল্লি পুলিশ 1994 সালে মামলা বন্ধ করে দিয়েছিল, কিন্তু নানাবটী কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে 2005 সালে পুনরায় মামলা দায়ের করা হয়। 2013 সালের মে মাসে নিম্ন আদালত এই মামলায় প্রাক্তন কংগ্রেস পর্ষদ বলবান খোখর, অবসরপ্রাপ্ত নৌসেনা অধিকারী ক্যাপ্টেন ভাগমল, গিরিধারী লাল এবং আরও দুজনকে দোষী বলে সাবস্ত করে। কিন্তু উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমারকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এরপর পীড়িত পক্ষ ও দোষী পক্ষের তরফ থেকে হাইকোর্টে আপিল করা হয়। জানা গেছে যে, এই মামলা সম্পর্কে সজ্জন কুমারের বিরুদ্ধে এমন কিছু তথ্য পাওয়া গেছে, যা নিম্ন আদালত আদেখ করেছিল। সজ্জন কুমারের বিরুদ্ধে 1984 -র শিখ দাঙ্গার সাথে সম্পর্কিত পাঁচটি মামলা চলছিল।
দেখুন ভিডিও: