This Article is From Dec 05, 2019

"আইকে গুজরালের পরামর্শে যদি গুরুত্ব দেওয়া হতো...":শিখ বিরোধী হিংসায় বললেন মনমোহন সিং

১৯৯৭-৯৮ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন আই কে গুজরাল, তাঁর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী Manmohan Singh

1984 riots: মনমোহন সিং বলেন, "গুজরাল পিভি নরসীমা রাওয়ের কাছে গিয়ে তাঁকে বলেন পরিস্থিতি গুরুতর"

হাইলাইটস

  • ১৯৯৭-৯৮ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন আই কে গুজরাল
  • ৮৪র- শিখ বিরোধী হিংসায় প্রায় ৩,০০০ মানুষ নিহত হন
  • সেই সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সেনাবাহিনী তলবের পরামর্শ দেন গুজরাল
নয়া দিল্লি:

দেশের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে পিভি নরসীমা রাও যদি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আই কে গুজরালের (IK Gujral) পরামর্শ শুনে কাজ করতেন তবে ১৯৮৪ সালের শিখ গণহত্যা (1984 riots) এড়ানো যেত, এমন বিস্ফোরক অভিযোগ করতে শোনা গেল দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে। ১৯৯৭-৯৮ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন আই কে গুজরাল, তাঁর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় ওই কথা বলেন মনমোহন (Manmohan Singh)। তিনি বলেন, পরিস্থিতি ঘোরালো বুঝে সেই সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সেনাবাহিনী তলবের পরামর্শ দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আই কে গুজরাল। "১৯৮৪ সালের দুঃখজনক ঘটনাটি ঘটে যাওয়ার পরে গুজরাল জি তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পিভি নরসীমা রাওয়ের কাছে গিয়ে তাঁকে বলেন যে পরিস্থিতি এতটাই মারাত্মক যে সরকারের প্রাথমিক পর্যায়েই সেনাবাহিনীকে ডাকার প্রয়োজন ছিল। মনমোহন সিং বলেন, "যদি সেই পরামর্শকেই গুরুত্ব দেওয়া হত তবে ১৯৮৪ সালে সংঘটিত গণহত্যাকে এড়ানো যেত।"

১৯৮৪ সালে শিখ দেহরক্ষীদের গুলিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির হত্যার পর শিখ বিরোধী হিংসায় উত্তাল হয় গোটা দেশ। সেই সময় প্রায় ৩,০০০ মানুষ নিহত হন। কংগ্রেসের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে শিখদের লক্ষ্য করে জনতাকে উস্কে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

১৯৮৪ শিখ বিরোধী হিংসার মামলা আবার শুরু করতে চায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, চাপে কমল নাথ

১৯৯১-৯৬ সালে নরসীমা রাও কংগ্রেস সরকারের পক্ষ থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হন। সেই সময় দেশের অর্থমন্ত্রী ছিলেন ডঃ মনমোহন সিং, অর্থমন্ত্রী হিসাবে দেশে বড় অর্থনৈতিক সংস্কার আনার কৃতিত্বও তাঁর।

মনমোহন সিং ওই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে নরসীমা রাওয়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, ১৯৭৫-৭৭ সালে জরুরি অবস্থার পরে তিনি আরও বেশি নরসীমা-ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। “১৯৭৫-এ গুজরাল দেশের তথ্যসম্প্রচার মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। কিছু সমস্যা তৈরি হওয়ায় তাঁকে সরিয়ে যোজনা কমিশনের প্রতিমন্ত্রীর পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সে সময় দেশের অর্থমন্ত্রকের উপদেষ্টা ছিলাম আমি। তখন থেকেই আমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।”

"পুডিংয়ের প্রমাণ...", মোদিকে সংবিধান মন্তব্যে কটাক্ষ মনমোহনের, সংবিধানকে "পবিত্র বই" বলেন মোদি

ওই একই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ও। ১৯৯৮-তে গুজরাল পরিচালিত সরকার থেকে সমর্থন তুলে নেওয়া সংক্রান্ত কংগ্রেস নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের জন্য দুঃখপ্রকাশও করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেন, যদি সেই সময় গুজরাল সরকারের থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত না নেওয়া হত, তা হলে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসতে পারত না।

দেখুন এই খবরগুলোও:

.