Delhi Pollution: দিল্লি ও তার আশেপাশে বায়ু দূষণের মাত্রা সব সীমা পার করেছে, ধোঁয়াশায় ভরে গেছে পথঘাট
আগ্রা: মারাত্মক বায়ুদূষণে ধুঁকছে দিল্লি (Delhi Pollution) সহ গোটা উত্তর ভারত। দূষণ থাবা বসিয়েছে তাজমহলেও। ক্রমশই নাকি বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের (Taj Mahal) গায়ের রং সাদা থেকে ধূসর হয়ে যাচ্ছে। এবার দূষণ (Pollution in Agra) আটকাতে তাই তাজমহলের প্রবেশদ্বারের কাছে দুটি বাতাস বিশুদ্ধকরণ যন্ত্র লাগালো আগ্রা জেলা প্রশাসন। এই উদ্যোগের বিষয়ে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন আগ্রা পুর কর্পোরেশনের কার্যনির্বাহী আধিকারিক আর কে রাথি। তিনি বলেন, "একটি এজেন্সিটিকে তাজমহল পরিষ্কারের কথা বলার পাশাপাশি তাজমহলের গেটে দুটি এয়ার পিউরিফাইং মেশিন (বাতাস বিশুদ্ধকরণ যন্ত্র) বসানোর বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে"। তিনি আরও বলেন যে, "আমরা বায়ু দূষণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং প্রতিদিন যে বিপুল সংখ্যক পর্যটক তাজমহল দেখতে আসেন তাঁদের সকলকে স্বস্তি প্রদানের লক্ষ্যেই এই ব্যবস্থা নিচ্ছি।"
Pollution Kolkata : কতটা বিষাক্ত কলকাতার আকাশ ?বিপদসীমার কতটা ওপরে কলকাতার দূষণ?
গত এক সপ্তাহ ধরে মারাত্মক বায়ু দূষণের বিরুদ্ধে যুঝছে উত্তর ভারত, দিল্লি এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলিকে ঘন ধোঁয়াশার চাদর ঘিরে রয়েছে। বছরভর গোটা বিশ্ব থেকে অসংখ্য পর্যটক তাজমহল দেখতে আসেন।
এদিকে সোমবারই দিল্লির দূষণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট । শীর্ষ আদালতে জানিয়েছে, ‘‘প্রতি বছর দিল্লির দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং আমরা কিছুই করতে পারছি না। মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। একজন খড় পুড়িয়ে অন্যদের বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। কেন্দ্র ও দিল্লি সরকার একে অপরের উপর দায় চাপিয়ে দিচ্ছে। এটা কেন্দ্রের জন্য হয়ে থাকুক বা দিল্লি সরকারের জন্য, আমাদের তাতে কিছু যায় আসে না।'' সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, শিশু থেকে যুবক ও বৃদ্ধ, সকলেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। কেন কৃষকরা খড় জ্বালাচ্ছে? এর জন্য জরিমানার বিধান থাকা সত্ত্বেও তাঁরা এমনটা করছেন কী করে এবং সরকারই বা তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে শীর্ষ আদালত।
মাস্ক মুখে প্রতিবাদী প্রিয়াঙ্কা, দিল্লি দূষণে চিন্তিত অভিনেত্রীও
এই দূষণের জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ী করে আদালত। কটাক্ষ করে বলা হয়, সরকার ভোট নিয়ে বেশি আগ্রহী। এই সব ছেড়ে খড় জ্বালানো বন্ধ করতে এগিয়ে আসুক তাঁরা। এটা সহ্য করা হবে না।
সোমবার দিল্লির বায়ু দূষণের পরিমাণ ছিল ৪৩৯। যা গুরুতর বলেই ধরা হয়।