This Article is From Jun 05, 2019

অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানকে সামলাতে মোদীর নয়া পরিকল্পনা: দু’টি নতুন মন্ত্রিপরিষদ কমিটি

দু’টি কমিটি গড়বার প্রস্তাব নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অর্থনীতির ধীর বৃদ্ধি ও বাড়তে থাকা বেকারত্ব সমাধানে কমিটিগুলি গড়া হবে।

দু’টি মন্ত্রিপরিষদ কমিটি গড়বার প্রস্তাব নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

হাইলাইটস

  • দু’টি কমিটি গড়বার প্রস্তাব নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন নরেন্দ্র মোদী।
  • ভারত আর বিশ্বের দ্রুত অর্থনৈতিক বৃদ্ধিপ্রাপ্ত দেশ নয়।
  • ১৯৭২-৭৩ সালের পর থেকে বেকারত্বের হার সবথেকে খারাপ।
নিউ দিল্লি:

দু'টি মন্ত্রিপরিষদ কমিটি গড়বার প্রস্তাব নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এই মুহূর্তের দু'টি বড় সমস্যা— অর্থনীতির ধীর বৃদ্ধি ও বাড়তে থাকা বেকারত্ব সমাধানে সচেষ্ট হতেই ওই কমিটিগুলি গড়া হবে। একটি কমিটি হবে ‘বিনিয়োগ ও বৃদ্ধি সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ কমিটি'। যার মূল কাজ হবে অর্থনীতির মন্দগতির মোকাবিলা করা। পাশাপাশি কৃষি ও পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়ানো। দ্বিতীয় প্যানেলটি হবে ‘কর্মসংস্থান ও দক্ষতা সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ কমিটি'। কর্মসংস্থানের বৃদ্ধি ঘটানোই যার মূল লক্ষ্য হবে। গত শুক্রবার, দ্বিতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর শপথ গ্রহণের পরের দিনই সরকার ঘোষণা করে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ত্রৈমাসিক অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হিসেবে লাগাতার তিন নম্বর পতন। গত ১৭টি ত্রৈমাসিক হিসেবে অর্থনীতির সবথেকে ধীরগতি এবারই দেখা গেল। অঙ্কটা ৬.৬ শতাংশে নেমে এসেছে ২০১৮-এর ত্রৈমাসিক হিসেবে।

যোগ দিবসের আগে সকলকে অ্যানিমেশন ভিডিওয় ত্রিকোণাসন শেখালেন নরেন্দ্র মোদী

ওই হিসেব থেকে পরিষ্কার হয়ে যায়, ভারত আর বিশ্বের দ্রুত অর্থনৈতিক বৃদ্ধিপ্রাপ্ত দেশ নয়। সেই জায়গায় এখন চিন। প্রথম ত্রৈমাসিক হিসেবে তাদের ৬.৪ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। গত দু'বছরে এই প্রথম ভারত চিনের পিছনে চলে গেল।

মোদীর শাসন কালে ধীরে ধীরে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আসছে অমিতের মন্ত্রক

একই সময়ে ভারতের পরিসংখ্যান মন্ত্রক জানিয়ে দিল বেকারত্বের হিসেবেও ৪৫ বছরে সব থেকে খারাপ পরিস্থিতি এবছরই। বেকারত্বের হার ২০১৭-১৮ সালে ছিল ৬.১ শতাংশ। অবশ্য গত জানুয়ারিতে বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড সংবাদপত্রে এই পরিসংখ্যানটিই আগাম ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। দেখা গেল অঙ্কটা হুবহু একই। ১৯৭২-৭৩ সালের পর থেকে এই প্রথম এতটা খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

মুখ্য পরিসংখ্যানবিদ প্রবীণ শ্রীবাস্তব NDTV-কে বলেন, অতীতের অঙ্কের সঙ্গে মেলানোটা অনুচিত। এখন ‘নতুন ডিজাইন, নতুন মেট্রিক'।

বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, জানুয়ারি মাসে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে এই বিষয়ে। জাতীয় নমুনা সমীক্ষা অফিসের জুলাই ২০১৭র মধ্যবর্তী হিসেব থেকেই এটা জানা গিয়েছে বলে জানানো হয় ওই প্রতিবেদনে।

ভোটের ঠিক আগে ওই তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ায় সরকার জানিয়ে দিয়েছিল, ওই পরিসংখ্যান এখনও প্রস্তুত হয়নি।

বেকারত্ব ও অর্থনীতি নিয়েই কংগ্রেস প্রচার চালিয়েছিল। তবে তাতে লাভ হয়নি। ৫৪৫টি আসনে মাত্র ৫২টি আসন পেয়েছিল তারা। জাতীয়তাবাদকে মূলত প্রচারে ব্যবহার করে দারুণ ভাবে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। অর্থনীতির কথা সেভাবে তাদের প্রচারে উঠে আসেনি।

.