মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে উত্তেজনা প্রশমনে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
হাইলাইটস
- মুর্শিদাবাদে বনধ ঘিরে সংঘর্ষ মৃত ২, জখম ৩
- বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা বনধ সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়
- তৃণমূল কংগ্রেস কংগ্রেস- সিপিআইএমের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছে
কলকাতা: সিএএ'র বিরোধিতায় চলা বনধের মধ্যেই সংঘর্ষের বলি দুই। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জলঙ্গির এই ঘটনায় জখম তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সিএএ আর এনআরসি'র (NRC) বিরোধিতায় ভারতীয় নাগরিক মঞ্চ বুধবার মুর্শিদাবাদ বনধ (strike) ডেকেছিল। সেই বনধ ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়, জলঙ্গির সাহিবনগরে ছড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষ। বিজেপির দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা বনধ সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। সেই হামলা থেকে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। তাদের আরও অভিযোগ সংঘর্ষে হয়েছে বোমাবাজি, চলেছে গুলি। একাধিক মোটর বাইক ও গাড়িতে ভাঙচুরের পাশাপাশি করা হয়েছে অগ্নি সংযোগ। এদিকে সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে স্থানীয় তৃণমূল নেতা আবু তাহের বলেন, "সিপিআইএম-কংগ্রেস এই সংঘর্ষের নেপথ্যে। আমরা পুলিশকে বলেছি অবিলম্বে তদন্ত করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে।"
European Union: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আজ বিতর্ক, বৃহস্পতিবার ভোটের সম্ভাবনা
তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ খারিজ করেছে কংগ্রেস। স্থানীয় বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী বলেছেন, বিচারবিভাগীয় তদন্ত করে সত্য সামনে আনা হোক। কংগ্রেস এই ঘটনার পিছনে নেই। এলাকার উত্তেজনা প্রশমনে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে এমনটাই খবর। এপ্রসঙ্গে উল্লেখ্য, সোমবার রাজ্য বিধানসভায় সিএএ-বিরোধী প্রস্তাব আনা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তাঁর দল শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করবে। কিন্তু কোনওপ্রকার বনধের রাজনীতি বরদাস্ত করা হবে না। সাম্প্রতিক শ্রমিক সংগঠনগুলোর ডাকা বনধ ঘিরে তরজায় জড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বনধ আহ্বায়কদের একহাত নিয়েছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, "পথে নেমে আন্দোলনের নাম-গন্ধ নেই, এদিকে বনধ ডেকে মানুষের হেনস্থা বাড়ানো হচ্ছে।
কলকাতার 'Shaheen Bagh' পার্ক সার্কাস ময়দানের আন্দোলন গড়াল ২৩ দিনে
সিএএ, এই প্রথম দেশে নাগরিকত্বের প্রমাণ নেবে। সরকার বলেছে, মুসলিম অধ্যুষিত তিন পড়শি দেশের সংখ্যালঘুরা এই আইনে নাগরিকত্ব পাবেন। বিরোধীরা বলছেন, এই আইন মুলসিমদের প্রতি বিদ্বেষমূলক আর সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী। ১১ ডিসেম্বর সিএএ বিলে সই করেন রাষ্ট্রপতি। সেদিন আইনে রূপান্তরিত হয় এই বিল। ইতিমধ্যে গ্যাজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করে গোটা দেশে লাগু করা হয়েছে এই আইন।