This Article is From Dec 17, 2018

কথা রাখলেন কমলনাথ, মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার দু’ঘণ্টার মধ্যে কৃষি ঋণ মকুবের সিদ্ধান্ত

নির্বাচনের প্রচারের সময় কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছিল ক্ষমতায় এলে কৃষকদের মাথার উপর থাকা ঋণ মকুব করে দেওয়া হবে।

কৃষি ঋণ মকুব  করা  মধ্যপ্রদেশের রাজনীতির ক্ষেত্রে প্রথম থেকে খুবই জরুরি বিষয় ছিল।

হাইলাইটস

  • কৃষকদের মাথায় থাকা ঋণের বোঝা লাঘব করার উদ্যোগ নিলেন কমলনাথ
  • মধ্যপ্রদেশ নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের অন্যতম বড় কারণ কৃষক অসন্তোষ
  • ঋণ মকুব বাবদ প্রায় ৫০ হাজার কোটির রাজস্ব ক্ষতি হবে রাজ্য সরকারের
ভোপাল:

কথা  রাখলেন কমলনাথ। নির্বাচনের প্রচারের সময় কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছিল ক্ষমতায় এলে কৃষকদের মাথার উপর থাকা ঋণ মকুব করে দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েই সরকারি নথিপত্রে সই করে  কৃষকদের মাথায় থাকা  ঋণের বোঝা লাঘব করার উদ্যোগ  নিলেন তিনি। এ কথা জানিয়ে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের তরফে টুইটও করা হয়। সেখানে লেখা হয়, ‘ ভোট প্রচার চলাকালীন বলা হয়েছিল ক্ষমতায় আসার ১০ দিনের মধ্যে  ঋণ  মকুব করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী শপথ নেওয়ার মাত্র  দু'ঘণ্টার মধ্যেই সেই কাজটা করে ফেললেন।'  জানা  গিয়েছে  ঋণ মকুব করায় প্রায় ৫০ হাজার কোটি  টাকার রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে মধ্যপ্রদেশ সরকারের। ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রত্যেক কৃষকের সর্বাধিক ২ লাখ টাকা  করে  মকুব করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  নতুন সরকারের  শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি  রাহুল গান্ধি। এদিন আরও দুটি শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকার কথা আগেই জানিয়েছিলেন রাহুল। সে মতো মধ্যপ্রদেশ থেকে অন্যত্র যাওয়ার সময় তিনি টুইটারে লেখেন, একটি হল আরও দুটো বাকি।                  

 

                

কৃষি ঋণ মকুব  করা  মধ্যপ্রদেশের রাজনীতির ক্ষেত্রে প্রথম থেকে খুবই জরুরি বিষয় ছিল। আর তাই প্রচারে এই ব্যাপারটাকে  বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছে  কংগ্রেস। বস্তুত ভোটের ফলে দেখা  গিয়েছে গ্রামীণ এলাকাতেই বিজেপির ফল খারাপ হয়েছে। ১৫ বছর সরকারে থাকা বিজেপির কাছে  সেটা নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা।        

সরকারি নথিপত্রে সই করার পর সাংবাদিকদের কমলনাথ বলেন, ‘আমি ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক বিশেষজ্ঞদের থেকে জানতে চাই আপানারা শিল্পপতিদের ঋণ মকুব করেন কিন্তু কৃষকদের ঋণ ছাড় দেন না কেন? এটা করতে আপনাদের পেটে ব্যথা হয় নাকি!'              

ঋণ  মকুবের জন্য মোট ৫৬ হাজার কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। তবে সরকারি তথ্য বলছে মধ্যপ্রদেশের কৃষি ঋণের মোট পরিমাণ ১ লাখ ৮৭ কোটি টাকারও বেশি  হতে পারে।

.