‘ডায়মন্ড প্রিন্সেস’ নামের ওই জাহাজটিকে ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ পর্যন্ত কোয়ারান্টাইন করে রাখা হবে।
হাইলাইটস
- জাপানে আটকে থাকা প্রমোদতরণীতে থাকা দুই ভারতীয়র শরীরে মিলল করোনা ভাইরাস
- ‘ডায়মন্ড প্রিন্সেস’ নামের ওই জাহাজে ৩,৭১১ জন যাত্রী রয়েছে
- জাহাজটিকে ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ পর্যন্ত কোয়ারান্টাইন করে রাখা হবে
নয়াদিল্লি: জাপানে আটকে থাকা প্রমোদতরণীতে (Japan Ship) দু'জন ভারতীয় ক্রু সদস্যের শরীরে মিলল করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) উপস্থিতি। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওই জাহাজটিকে কোয়ারান্টাইন করে রাখা হবে। গত মাসে হংকং থেকে এক যাত্রী ওই জাহাজে ওঠেন। তাঁর শরীরের ওই ভাইরাসের উপস্থিতি ছিল। সেখান থেকেই সংক্রমণ ছড়ায়। ‘ডায়মন্ড প্রিন্সেস' নামের ওই জাহাজে ৩,৭১১ জন যাত্রীর মধ্যে ১৩৮ জন ভারতীয়। গত সপ্তাহ থেকে জাপানের বন্দরে আটক রয়েছে ওই জাহাজ। দূতাবাস জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত জাহাজের ১৭৪ জনের শরীরে মিলেছে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি। দূতাবাসের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘‘নোভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে জাহাজটিকে ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ পর্যন্ত কোয়ারান্টাইন করে রাখা হবে জাপানে।''
কয়েক দিন আগে ওই জাহাজে থাকা বিনয়কুমার সরকার নামে উত্তরবঙ্গের এক শেফ সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেদন করেন ভারত সরকারের প্রতি। তিনি বলেন, ‘‘যে কোনও ভাবে আমাদের রক্ষা করুন যত দ্রুত সম্ভব। আমাদের কিছু হয়ে গেলে কী হবে? আমি ভারত সরকারের উদ্দেশে বলতে চাই, মোদিজি, প্লিজ আমাদের পৃথক করে রাখার ব্যবস্থা করুন ও নিরাপদে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন।''
করোনা আক্রান্ত জাহাজ থেকে তরুণী ভারতীয় আধিকারিকের আর্তি, ‘‘বাড়ি ফিরতে চাই''
টোকিওর ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে তারা নিয়মিত পরিস্থিতির দিকে্ নজর রাখছে।
জাহাজে আটক সোনালি ঠাকুর নামের এক ভারতীয় নিরাপত্তা আধিকারিক আর্জি জানিয়ে বলেন, ‘‘আমরা ভয় পাচ্ছি যদি সংক্রমণ দ্রুত ছড়ায়। এটা দ্রুত ছড়াতে থাকলে আমরাও যে কেউ এতে আক্রান্ত হতে পারি। আমরা এটা চাই না। আমরা কেবল বাড়ি ফিরতে চাই।''
‘‘মোদিজি, প্লিজ...'': করোনা আক্রান্ত জাপানের জাহাজে আটক ভারতীয়র ভিডিও বার্তা
সোনালি জানিয়ে্ছেন, তাঁর পরিবার তাঁর জন্য উদ্বিগ্ন। তাঁরা চাইছেন ঘরের মেয়ে দ্রুত ঘরে ফিরে আসুন। তিনি বলেন, ‘‘ওরা (সোনালির অভিভাবক) দিনরাত আমার জন্য প্রার্থনা করছে। ওদের তরফ থেকে এইটুকুই কেবল করতে পারে ওরা। এবং আমি ওদের বলতে চাই শক্ত থাকতে, সদর্থক থাকতে। তোমাদের মেয়ে তোমাদের কাছে দ্রুতই ফিরে আসবে।''
সমস্ত যাত্রীকে সংক্রমণ এড়াতে কেবিনের ভিতরে থাকতে বলা হয়েছে। তাঁদের মাস্ক পরে থাকতে বলা হয়েছে এবং পরস্পরের সঙ্গে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের থার্মোমিটার দেওয়া হয়েছে নিয়মিত নিজেদের দেহের উষ্ণতা পরীক্ষা করার জন্য।