এর আগে পানবাজার সহ আরও দু'টি জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়।
গুয়াহাটি: বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে আরও দু'টি এফআইআর দায়ের হল। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই অসমের পরিস্থিতি দেখতে আসা তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সদস্যদের নামও আছে ওই দু'টি এফআইআরে। এনিয়ে মমতার নামে মোট পাঁচটি এফআইআর নথিভুক্ত হল রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজনের চেষ্টা সহ একাধিক ধারায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। পাল্টা অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালের নামেও কলকাতায় ফিরে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সদস্য সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার ও বিধায়ক মহুয়া মৈত্র।
গুয়াহাটি পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল রঞ্জন ভুঁইয়া জানিয়েছেন, এবারের অভিযোগ দু'টি দায়ের হয়েছে গুয়াহাটি ও শিলচরে। গুয়াহাটির গীতানগর থানায় রাজ্য সরকারের কর্মী ধ্রুবজ্যোতি তালুকদার ও শিলচরে তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সদস্যদের হাতে ‘আক্রান্ত’ মহিলা কনস্টেবল এফআইআর করেছেন বলে জানা গিয়েছে। শুধু পুলিশে অভিযোগ দায়ের করাই নয়, শনিবার অসমের বিভিন্ন জায়গায় মমতার কুশপুতুলও পোড়ানো হয়েছে।
গুয়াহাটির এফআইআরে ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজনের চেষ্টা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও উস্কানিমূলক বক্তব্যের সাহায্যে ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করার মতো গুরুতর ধারা যুক্ত হয়েছে। অন্যদিকে, শিলচরের অভিযোগ 144 ধারা লঙ্ঘনের চেষ্টা সংক্রান্ত। এর আগে পানবাজার সহ আরও দু'টি জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। আর তারপর প্রতিক্রিয়া দিয়ে মমতা বলেছিলেন, "আমরা জানি দেশে গণতন্ত্র নেই। পরিস্থিতি জরুরি অবস্থার থেকেও খারাপ। কিন্তু, আমাকে ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না, আমি মানুষের হয়ে কথা বলবই। ওরা ( বিজেপি) আমার বিরুদ্ধে লাখ লাখ অভিযোগ দায়ের করতে পারে কিন্তু, তাতে আমার কিছু যায় আসে না।"