মুম্বইয়ের ধারাভিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় নিশ্চিত করা প্রশাসনের কাছে বড় প্রতিবন্ধকতা।
হাইলাইটস
- উদ্ধব সরকারের উদ্বেগ বাড়িয়ে ধারাভিতে আরও দু'জনের দেহে সংক্রমণ মিলেছে
- এই সংখ্যা ধরে সেই এলাকায় মোট সংক্রমিত ৫। প্রত্যেকেই কোয়ারান্টাইনে
- ধারাভিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সরকারের কাছে উদ্বেগের কারণ
নয়া দিল্লি: মহারাষ্ট্র সরকারের উদ্বেগ বাড়িয়ে মুম্বইয়ের ধারাভিতে (Dharavi) আরও দু'জনের দেহে সংক্রমণ মিলেছে। দক্ষিণ মুম্বইয়ের ওই এলাকায় গত এক সপ্তাহে মোট ৫ জন সংক্রমিত (Corona Positive)। এমনটাই জানিয়েছে রাজ্যের (Maharastra) স্বাস্থ্য দফতর। জানা গিয়েছে, দিন দুয়েক আগে ওই এলাকায় মহল্লা ক্লিনিক ছিল এমন চিকিৎসকের দেহে সংক্রমণ মিলেছিল। তারপর শনিবার নতুন করে ২ জন সংক্রমিত। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ৫ জনকেই কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে। আর ওই ৫ জনের সংস্পর্শে যারা এসেছেন, তাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে। মুম্বই বিমানবন্দরের ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে এই ধারাভি। এশিয়ার বৃহত্তম এই বস্তিতে ৫ বর্গকিমি জায়গায় গাদাগাদি করে লক্ষাধিক মানুষের বাস। বাসিন্দাদের ভাগ করে শৌচালয় ব্যবহার করতে হয়। পরিবেশও অপরিছন্ন। মুলত দরিদ্রসীমার নীচে বাস করেন এমন মানুষের বসতি ধারাভিতে। এদিকে, পশ্চিমবঙ্গে মোট সংক্রমিত ৪৯। গত ৩৬ ঘণ্টায় ১১ জনের দেহে সংক্রমণ মিলেছে। ২৬২৬ জনকে সরকারি পরিষেবায় কোয়ারান্টাইন করা হয়েছে। শনিবার জানিয়েছে, রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।
আগামীকাল মোমবাতি জ্বালাতে গিয়ে কম্পিউটার, পাখা, এসি বন্ধ করার দরকার নেই; স্পষ্ট করল সরকার
স্বাস্থ্যকর্তাদের দাবি, "ধারাভির মতো জনবসতিপূর্ণ এলাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় প্রশাসনের কাছে বড় প্রতিবন্ধকতা। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে এবং কফ-থুতুর ছিটে থেকে এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়।তাই সামাজিক দুরত্ব গুরুত্বপূর্ণ। ফলে, ধারাভিতে বেড়ে চলা সংক্রমণ এখন রাজ্য প্রশাসনের মাথাব্যাথার কারণ।" জানা গিয়েছে, সংক্রমণের বিচারে গোটা দেশের মধ্যে এখন শীর্ষে মহারাষ্ট্র। ৪২০ জনের দেহে মিলেছে সংক্রমণ। তারপরেই আছে তামিলনাড়ু। এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্র থেকে ১৮ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, গোটা দেশে মৃত ৬৮। আর সংক্রমিত ২৯০২ জন। শুক্রবার গোটা দেশ থেকে ৬০১ জনের দেহে সংক্রমণ মিলেছে। মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। একদিনে সংক্রমণ হারের এই বৃদ্ধি এখন মন্ত্রকের মাথাব্যাথার কারণ।
রবিবার রাত ন'টার কর্মসূচি পালনে প্রভাবিত হবে না পাওয়ার গ্রিড: বিদ্যুৎ মন্ত্রক
অপরদিকে, লকডাউন পর্ব মিটলে কী পন্থায় সামাজিক দুরত্ব নিয়ন্ত্রিত করা যায়, তা খতিয়ে দেখতে রাজ্যগুলোকে পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।