তাঁদের দু’জনেরই প্রাক্তন স্বামী ছিল সন্ত্রাসবাদী।
হাইলাইটস
- উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারায় পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন দুই মহিলা
- দুই মহিলা হলেন দিলসাদা বেগম ও আরিফা বেগম
- পুলিশের দাবি ভোটে লড়ার আগে সমস্ত দরকারি নথি জমা দিয়েছেন দু’জনে
শ্রীনগর: উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারায় পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন দুই মহিলা। তাঁদের নির্বাচিত হওয়ার খবরের সঙ্গে সঙ্গেই প্রকাশ্যে এসেছে আরও কিছু তথ্য। জানা গিয়েছে দিলসাদা বেগম ও আরিফা বেগম নামে ওই দুই মহিলা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দা।
সেখান থেকে ফিরে এসেছেন কয়েক বছর আগে। শুধু তাই নয় তাঁদের দু'জনেরই প্রাক্তন স্বামী ছিল সন্ত্রাসবাদী। এই দু'জনের অতীত জীবনে কী কী ঘটনা ঘটেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কয়েকটি অভিযোগের কথা জানা গিয়েছে। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ মিথ্যা হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।মাওয়ার গ্রাম থেকে বিনা লড়াইয়ে জয়ী হয়েছেন দিলসাদা। আর আরিফা জিতেছেন খুমরেয়াল গ্রাম থেকে।
পুলিশের দাবি ভোটে লড়ার আগে সমস্ত দরকারি নথি জমা দিয়েছেন দু'জনে। আরিফার বিয়ে হয় গুলাম মহম্মদ মীরের সঙ্গে। তখন তিনি থাকতেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। এরপর 2010 সালে নেপাল হয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে ফিরে আসেন আরিফা। আগে মীরের বাড়ি এই কুপওয়ারাতেই। নয়ের দশকের গোড়ায় কুপওয়ারা থেকে কয়েক হাজার পরিবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চলে যায়। মাওয়ার গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন সে সময়ই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চলে যায় দিলসাদার পরিবার। 2010 সালে স্বামীর সঙ্গে ফিরে আসেন তিনি।আইন অনুযায়ী সীমান্ত পার করা মহিলাদের ভোটে লড়তে কোনও বাধা নেই। এক আধিকারিকের কথায় সীমান্ত পার করা যে অপরাধ তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু এই কারণে কাউকে ভোটে লড়া থেকে বিরত করা যায় না।