মালদা: বাইক চুরির অপরাধে এক যুবকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। মালদা জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, কলকাতা থেকে মৃত সানাউল শেখের দেহ মালদায় পৌঁছালে এলাকায় ব্যাপক প্রতিবাদ মিছিল হয়। দুজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার। তিনি জানান, বুধবার বিকেলে তাঁকে বাইক চুরির অপরাধে সানাউল শেখকে বৈষ্ণবনগর বাজারে ব্যাপক মারধর করে স্থানীয়রা। মারধরের ঘটনা ভাইরাল হয়ে যায়, সেই ভিডিও দেখে কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়। প্রথমে আহত অবস্থায় সানাউলক বেদ্রাবাদ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অনবতি হলে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখান থেকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। শনিবার এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন সানাউল শেখের মৃত্যু হয়।
চিটফান্ডকাণ্ডে তদন্তে রাজ্যে ২২ জায়গায় তল্লাশি সিবিআইয়ের
ঘটনায় কোনওরকম সাম্প্রদায়িক রং না লাগানোর জন্য আবেদন জানিয়েছেন মালদা জেলা পরিষদের সদস্য চন্দনা সরকার। ঘটনাকে “দু্র্ভাগ্যজনক” বলে মন্তব্য বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আগেও চুরির অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তাঁর স্ত্রী আজ আমার সঙ্গে কথা বলেছেন, মানবিক দিক থেকে পরিবারটিকে আমরা সাহায্যের চেষ্টা করছি”।
মুখ্যমন্ত্রীর মিম কাণ্ডে ধৃতকে ছাড়তে দেরি কেন! রাজ্যকে শো কজ নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের
জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, মৃতের মায়ের তরফে দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সুজাপুরের বিধায়ক সুজা খান চৌধরী জানিয়েছেন, রবিবার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে বৈষ্ণবনগর থানায় যাওয়ার সময়, উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার জন্য বিধায়কসহ অন্যান্য নেতাদের কাছে আবদন জানায় পুলিশ।
সুজাপুরের বিধায়ক সুজা খান চৌধুরী বলেন, “আমরা জনতাকে আর এগোতে দিইনি। ধর্মীয় নানা কার্য সম্পন্ন করতে আমরা দেহ বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাই”।