17-ই জুলাই থেকে বন্ধ হয়ে গেলো ইয়াহু মেসেঞ্জার
20 বছরের যাত্রা শেষ।শেষ পর্যন্ত বন্ধই হয়ে গেল ইয়াহু মেসেঞ্জার। হোয়াটস অ্যাপ, স্ন্যাপ চ্যাট বা ফেসবুক মেসেঞ্জারের যুগে ইয়াহুর এই ফ্রি মেসেজের অ্যাপের কথা অনেকের মনে না থাকলেও নব্বই দশকের প্রজন্ম কিন্তু ফ্রি মেসেজের আস্বাদ প্রথম পেয়েছিল ইয়াহু মেসেঞ্জারের হাত ধরেই। 20 বছরের এই জার্নির শেষ হওয়ার খবরে স্বাভাবিকভাবেই নস্ট্যালজিকও হয়ে পড়েছেন এই প্রজন্মের টেক-স্যাভিরাও।
এক নজরে দেখা যাক ইয়াহুর মেসেঞ্জারের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। 1998 সালের 9 মার্চ ইয়াহু পেজার হিসেবেই আত্মপ্রকাশ করে এই অ্যাপ। ঠিক পরের বছরেই 21 জুন নাম বদলে হয় ইয়াহু মেসেঞ্জার। 2009 সালে সারা পৃথিবী জুড়ে প্রায় 122 মিলিয়নের কিছু বেশি মানুষ ইয়াহুর মেসেঞ্জার ব্যবহার করতেন। বাজারে টিকে থাকতে বারে বারে তাঁদের অ্যাপ খোলনলিচা বদলও ঘটিয়েছিলেন ইয়াহু কর্তৃপক্ষ। যে ভার্সনটি আজ থেকে বন্ধ হয়ে যেতে চলেছে 2015 সালেই ডিসেম্বরে সেটির রিমডেলিং ঘটানো হয়। তাহলে হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত?
হোয়াটস অ্যাপ বা ফেসবুক মেসেঞ্জারের সাথে পাল্লা দিতে না পেরেই কি বন্ধ করে দিতে চাইছেন তাঁরা? ইয়াহু কর্তৃপক্ষের কথায়, মেসেঞ্জার ভার্সনটি বন্ধ করে তারা শুরু করছেন ইয়াহু স্কুইরেল অ্যাপ। এখন থেকে মেসেঞ্জার খুলতে চাইলে ব্যবহারকারীরা আপনা থেকেই স্কুইরেল অ্যাপের পেজে চলে যাবেন। তবে পুরনো ভার্সনের যাবতীয় মেসেজের ব্যাক আপ নেওয়ার জন্য 6 মাস সময় পাবেন ইয়াহু মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীরা। ইয়াহুর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতি মুহূর্তেই পালটে যাচ্ছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং শব্দের মানেটাই। আমরা এই বদলের সাথে টেক্কা দিতেই চাইছি আরও নতুন এবং অন্যরকমের অ্যাপ আনতে যাতে ভার্চুয়াল যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও আধুনিক আরও উন্নত দিকেই যেতে পারে।
Click for more
trending news