2001 Parliament attack anniversary: ২০০১ সালে সংসদে হওয়া জঙ্গি হানার বর্ষপূর্তি শুক্রবার।
New Delhi: ২০০১ সালে সংসদে হওয়া জঙ্গি হানার (2001 Parliament Attack Anniversary) বর্ষপূর্তিতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (President Kovind) ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা শুক্রবার সেই জঙ্গি হানায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করলেন। আঠেরো বছর আগে ২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর লস্কর-ই-তৈবা ও জৈশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর জঙ্গিরা সংসদ চত্বরে প্রবেশ করে গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে ন'জনের মৃত্যু ঘটে। আক্রান্তদের মধ্যে ছিলেন পাঁচজন দিল্লি পুলিশ কর্মী, একজন মহিলা সিআরপিএফ সেনা, দু'জন সংসদের নিরাপত্তা কর্মী, একজম ওয়ার্ড স্টাফ ও একজন বাগানের মালি। একজন সাংবাদিকও গুলিবিদ্ধ হন। তিনি পরে মারা যান। পাঁচজন জঙ্গির প্রত্যেককেই গুলি চালিয়ে খতম করা হয়।
নাগরিকত্ব আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ টুইট করে জানান, ‘‘দেশ কৃতজ্ঞচিত্তে স্যালুট জানায় শহিদদের অননুকরণীয় বীরত্ব ও সাহসকে যাঁরা নিজেদের জীবনের বলিদান দিয়েছিলেন ২০০১ সালে সংসদকে জঙ্গিদের হাত থেকে বাঁচাতে। সন্ত্রাসবাদকে সমস্ত রকম ভাবে দূর করতে আমরা আমাদের সংকল্পে অবিচল।''
কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ টুইট করে জানান, ‘‘আসুন আজ আমরা স্মরণ করি সেই শহিদদের, যাঁরা জঙ্গি হানা থেকে ভারতের সংসদকে বাঁচাতে নিজেদের জীবনের বলিদান দিয়েছিলেন।''
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরীও টুইট করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সেদিন সংসদে শহিদ হওয়া ব্যক্তিদের প্রতি। তিনি টুইটে দাবি করেন, ‘‘নতুন ভারত চিরকাল ঋণী থাকবে তাঁদের স্বার্থহীনতা, ধৈর্য ও সাহসের কাছে।''
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও টুইট করে তাঁর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘‘আজ সংসদে হওয়া জঙ্গি হানার অষ্টাদশ বর্ষপূর্তি। গম্ভীর চিত্তে স্মরণ করি তাঁদের যাঁরা আজ তাঁদের প্রাণের বলিদান দিয়েছিলেন। যাঁরা তাঁদের কর্তব্য পালন করতে গিয়ে আহত হয়েছিলেন তাঁদের প্রতি আমার সমবেদনা। সন্ত্রাসবাদ ও হিংসার স্থান কোনও সভ্য সমাজে থাকতে পারে না।''