নির্ভয়াকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত চারজনকে তিহার জেলে রাখা হয়েছে
নয়াদিল্লি: ২০১২ নির্ভয়া গণধর্ষণ, পাশবিক নির্যাতন এবং খুনের ঘটনায় (Nirbhaya Rape Case) সাজাপ্রাপ্তদের ফাঁসি কার্যকর করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে গতমাসেই, মঙ্গলবার দিল্লি আদালত জানিয়ে দিয়েছে ২২ জানুয়ারি সকাল ৭টায় তাদের ফাঁসি দেওয়া হবে তিহার জেলে(Tihar jail)। নাম না প্রকাশে ইচ্ছুক জেলের এক আধিকারিক বলেন, “আমরা মেরঠের ফাঁসুড়ে আনব। একসঙ্গে চারজনের ফাঁসির সমস্ত প্রস্তুতি সেরেছি আমরা”। বিহারে বক্সার থেকে ফাঁসির দড়ি আনা হয়েছে, ২০১৩ তে সংসদ হামলার অপরাধী আফজল গুরুর ফাঁসির দড়ি এসেছিল সেখান থেকেই, সূত্র মারফৎ এমনটাই জানতে পেরেছে NDTV। ইতিমধ্যে দিল্লির তিহার জেলের ফাঁসিকাঠে ফাঁসির ড্যামি করা হয়েছে।
সাজাপ্রাপ্তদের আলাদা সেলে রাখা হয়েছে এবং সিসিটিভির মাধ্যমে তাদের ওপর নজরদারি চলছে। ৩ নম্বর সেলে ফাঁসির প্রস্তুতি করা হয়েছে, সেখানেই তাদের ফাঁসি দেওয়া হবে।
নির্ভয়াকাণ্ডের চার সাজাপ্রাপ্তের ফাঁসি ২২ জানুয়ারি, জানাল দিল্লি আদালত
২০১২ দিল্লিতে প্যারামেডিক্যালের ছাত্রীকে গণধর্ষ, অত্যাচার এবং খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় অক্ষয় সিং, মুকেশ, পবন গুপ্তা এবং বিনয় শর্মাকে।
সাত বছর ধরে বিচারের অপেক্ষায় বসে রয়েছেন বলে আক্ষেপ প্রকাশ করে মৃত্যুর পরোয়ানা জারির জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নির্ভয়ার মা, তিনি বলেন, “এই রায়ে বিচারব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা ফিরবে। আমার মেয়ে বিচার পাবে”।
“বিচার পেল দেশের মেয়ে”, প্রতিক্রিয়া নির্ভয়ার মায়ের
গতমাসে সুপ্রিম কোর্ট শেষবার রায় খতিয়ে দেখার আর্জি খারিজ করে দেওয়ার পরেই, নিম্ন আদালতে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করার আবেদন জানিয়েছিলেন নির্ভয়ার পরিবারের লোকেরা, তবে সেদিন আদালত ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত রায়স্থগিত করে দেয়।
২০১২ এর ১৬ ডিসেম্বর, দিল্লিতে প্যারামেডিক্যালের এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ এবং অকথ্য অত্যাচার করা হয় চলন্ত বাসে, পরে তাঁকে সেখান থেকে ছুঁড়ে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়, সেই সময় তিনি নগ্ন এবং রক্তাক্ত ছিলেন। ২৯ ডিসেম্বর নির্ভয়ার মৃত্যুর পর দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়ে।