দেখে নিন এবিষয়ে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
করোনা ভাইরাস, এই মারাত্মক সংক্রামক রোগটি যেখানে গত ২ এপ্রিল পর্যন্তও দেশের ২১১ টি জেলায় বাসা বেঁধেছিল, গত কয়েকদিনে নিজের মারণ রাজত্বকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এখন গোটা দেশের ৪৩০ টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে ওই রোগ। সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত দেশের ৬টি বড় শহর। সারা দেশে মোট করোনা আক্রান্তের প্রায় ৪৫ শতাংশ রোগীই রয়েছে ওই ৬ শহরে। মুম্বইয়ে COVID- 19 আক্রান্ত ৩,০০০ এরও বেশি মানুষ, তারপরেই রয়েছে দিল্লি, সেখানে আক্রান্ত মোট ২,০৮১ জন, আমেদাবাদে করোনা আক্রান্ত ১,২৯৮ জন, ইন্দোর ৯১৫ জন, পুনেতে ৬৬০ জন এবং জয়পুর ৫৩৭ জন ভুগছেন ওই মারণ রোগে।
দেশের মোট করোনা আক্রান্তের ৬০ শতাংশেরও বেশি রোগী রয়েছে কেবল পাঁচটি রাজ্যেই। সেই রাজ্যগুলো হল- মহারাষ্ট্র, গুজরাট, দিল্লি, রাজস্থান এবং তামিলনাড়ু।
এই পরিস্থিতিতে ওই রাজ্যগুলোতে আলাদা করে অতি সংক্রমিত অঞ্চলগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে। দিল্লি এবং মুম্বইয়ের রেড জোনগুলিকে অন্যান্য অঞ্চল থেকে পুরোপুরি আলাদা করে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে যে রাজ্যগুলিতে তুলনায় করোনা সংক্রমণ কম সেখানে ধীরে ধীরে কিছু কাজকর্ম শুরুর ব্যাপারে অনুমতি দিয়েছে সরকার।
এদিকে লকডাউনের জেরে ধুঁকতে থাকা দেশীয় অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে উৎসাহ জোগাতে আরও একটি বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণার কথা বিবেচনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এই মহামারীর ফলে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি কীভাবে ছন্দে ফেরানো হবে তা ভেবে কুলকিনারা পাচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লাগাতার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে আলোচনা করছেন। কীভাবে দেশের অর্থনৈতিক উদ্দীপনা বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে বিভিন্ন দিক এবং পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করছেন তাঁরা।
এদিকে দেশে যেভাবে বিভিন্ন সময় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হামলা হচ্ছে তা রুখতে কড়া পদক্ষেপ করল সরকার। নতুন আইনে আনা হল ওই হামলার ঘটনা রুখতে। তাতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের উপর হামলা হলে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি হবে। তাঁদের ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং মোটা অঙ্কের জরিমানা দিতে হবে।
দেশ যখন করোনা ভাইরাসের আক্রমণে বেহাল সেই সময় সামনের সারিতে ত্রাতার ভূমিকায় এগিয়ে এসেছেন এই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরাই। কিন্তু তা সত্ত্বেও কিছু মানুষ প্রায়শই হামলা চালাচ্ছে তাঁদের উপরে।
প্রায় মাসখানেক আগে ভারতে শুরু হওয়া এই লকডাউনের ফলে প্রায় ৪০ মিলিয়ন মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। "ভারতে এই লকডাউন জারির ফলে দেশের প্রায় ৪০ মিলিয়ন নাগরিকের জীবন-জীবিকার উপর প্রভাব পড়েছে। গত কয়েক দিনের মধ্যে প্রায় ৫০,০০০-৬০,০০০ মানুষের এলাকা শহর থেকে প্রায় গ্রামীণ অবস্থায় চলে গেছে", বুধবার এক রিপোর্টে জানায় বিশ্বব্যাংক।
এদিকে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বা ন্যাশনাল অ্যারোনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NASA) তাঁদের একটি স্যাটেলাইটের তথ্য প্রকাশ করেছে। সেই তথ্য অনুসারে, উত্তর ভারতে বায়ুদূষণ ২০ বছর পর এতটা কমে গেছে।
নাসার মার্শাল স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের ইউনিভার্সিটিস স্পেস রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন বা ইউএসআরএ–র বিজ্ঞানী পবন গুপ্তা বলেছেন, "আমরা জানতাম লকডাউনের পর নানা জায়গায় বায়ুমন্ডলে বদল দেখতে পারব। কিন্তু গঙ্গা অববাহিকায় বছরের এই সময় এরোসোলের মাত্রা এতো কম আমি কোনওদিন দেখিনি"।
World
India
State & District Details
State | Cases | Active | Recovered | Deaths |
---|