বিরক্ত করার কেউ নেই। তাই খোশমেজাজে আলিপুর চিড়িয়াখানা। (ফাইল ছবি)
হাইলাইটস
- ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ আলিপুর চিড়িয়াখানা
- তাই দর্শক সমাগম না থাকায় বেশ খোশমেজাজে প্রাণীকুল
- বন্ধ সুন্দরবন অভয়ারণ্যও, জানিয়েছে বন দফতর
কলকাতা: বিরক্ত করার কেউ নেই। তাই খোশমেজাজে আলিপুর চিড়িয়াখানা (Alipore Zoo Kolkata)। জানা গিয়েছে, করোনা সংক্রমণের (Covid-19) ভয়ে ১৭ মার্চ থেকে চিড়িয়াখানায় দর্শক প্রবেশ বন্ধ (Lockdown)। ফলে আনন্দে, নিজেদের মতো করে হেসে-খেলে কাটাচ্ছে প্রাণীরা। শেষবার ১৫ মার্চ, রবিবার, প্রায় ৬ হাজার মানুষ এসেছিলেন চিড়িয়াখানা দর্শনে বলে খবর।গোটা চিড়িয়াখানায় সব প্রজাতি মিলিয়ে ১২৭০ জন প্রাণী। তাদের যত্নের দায়িত্বে থাকা কর্মীরাও এখন এনক্লেভে ঢুকতে পারছেন। খাওয়ার পরিবেশন থেকে স্নান করানো কিংবা শারীরিক সমস্যার চিকিৎসা'; সব ওই কর্মীরাই করছে। আর এমন নির্ঝঞ্ঝাট পরিবেশ পেয়ে খুশি চিড়িয়াখানার প্রাণীকুল বলে জানিয়েছেন এক কর্তা। তিনি বলেছেন, "জনমানবহীন এই পরিবেশে সবচেয়ে খুশিতে আছে বাঘ, জেব্রা আর শিম্পাঞ্জিরা। তাদের এনক্লেভের বাইরে দাঁড়িয়ে বিরক্ত করার কেউ নেই। এটা ভেবেই ডগমগ তারা।" সেই কর্তার দাবি, "শুধু কলকাতা না দেশের অন্য প্রান্তের চিড়িয়াখানায় প্রাণীদের বিরক্ত করার একটা আদিম প্রথা আছে। কিছু অসংবেদনশীল নাগরিক এই কাজ করে থাকে। টিটকিরি থেকে শুরু করে খোঁচা দেওয়া কিংবা চিৎকার-চেঁচামেচি, এগুলো একদম পছন্দ নয় খাঁচাবন্দি প্রাণীগুলোর। তাই গত ১০ দিনে মানুষের উপস্থিতি না থাকায় বেশ উৎফুল্ল তারা।"
করোনা ভাইরাসের নতুন পরীক্ষা পদ্ধতি, এবার আর ২ দিন নয়, ৫ মিনিটেই মিলবে রিপোর্ট
তিনি আরও জানিয়েছেন, লকডাউন ও করোনা সংক্রমণের জেরে প্রাণীদের খাওয়ার জোগানে ভাটা পড়েনি। চাহিদা মেনেই আসছে পর্যাপ্ত খাওয়ার। এদিন জানান সেই কর্তা। তিনি বলেন, "বিপদ আন্দাজ করে আমরা আগে থেকেই শাকাহারী, মাংসাশী, পাখি ও সরীসৃপের খাওয়ারের পৃথক ব্যবস্থা করে রেখেছিলাম। সেগুলো দিয়েই কাজ চলে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট এনক্লেভেরে কর্মীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই খাওয়ার পরিবেশন করছেন।" এদিকে ইকোপার্কের হরিণের দলও মানুষের অনুপস্থিতিতে বেশ ঘুরেফিরে বেড়াচ্ছে। জান গিয়েছে, ইকোপার্কে মোট ১৮টি হরিণ আছে। পাশাপাশি রাজ্য বন দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, সরকারি নির্দেশ মেনে রাজ্যের সব অভয়ারণ্য, সংরক্ষিত বনাঞ্চল বন্ধ। আমরা আবার ৩০ মার্চ বৈঠকে বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো।
করোনার সঙ্গে যুঝতে ভারতকে ২.৯ মিলিয়ন ডলার অর্থসাহায্যের ঘোষণা আমেরিকার
অপরদিকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ অরণ্যের এলাকা সুন্দরবনও এখন পর্যটকশূন্য। সেই বনকর্তা বলেছেন, "সাধারণ ভাবে প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার মানুষ ঘুরতে আসেন। এই বছরে সেই সংখ্যাটা শূন্য। এমনিতেও আমরা পর্যটকদের ব্যাঘ্র সংরক্ষণ অঞ্চলে ঢুকতে দিই না। নদী থেকে ভেসেল চড়ে দূর থেকে বাঘ দর্শন করতে পারেন পর্যটকরা।" জানা গিয়েছে, সুন্দরবনে এখন রয়্যাল বেঙ্গল বাঘের সংখ্যা ৯০।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)