This Article is From Mar 21, 2020

মধ্যপ্রদেশে বিজেপিতে যোগ পদত্যাগী ২২ বিধায়কের

২২ পদত্যাগী বিধায়ক যোগ দিল বিজেপিতে (MLAs joined BJP)। এই ২২ জনের গণ ইস্তফার জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh CM) মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ

মধ্যপ্রদেশে বিজেপিতে যোগ পদত্যাগী ২২ বিধায়কের

এই ২২ জনের গণ ইস্তফার জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। (ফাইল ছবি)

ভোপাল:

২২ পদত্যাগী বিধায়ক যোগ দিল বিজেপিতে (22 Resigned MLAs joined BJP)। এই ২২ জনের গণ ইস্তফার জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh CM) মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, ২৬ মার্চ পর্যন্ত মুলতুবি বিধানসভার অধিবেশন। তার আগে সরকার গড়তে রাজ্যপালের কাছে দরবার করতে পারে বিজেপির পরিষদীয় দল। যদিও, এই ২২ পদত্যাগী বিধায়কের ফাঁকা আসনে উপনির্বাচন হলে, ফের ঘুরতে পারে সে রাজ্যে কংগ্রেস শিবিরের পালের হাওয়া। এমনটাই দাবি বিশেষজ্ঞদের। এদিকে সুপ্রিম কোর্ট, শুক্রবার মধ্যপ্রদেশ সরকারকে আস্থা ভোট ((Trust Vote) আয়োজন করতে নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু সেই পথে না হেঁটে  আস্থা ভোটের আগেই মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কমল নাথ (Kamal Nath)। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফার সময় কমল নাথ তাঁর সরকারের পতনের জন্যে কাঠগড়ায় তুলেছেন বিরোধী দল বিজেপিকে। গণতন্ত্রের হত্যা করা হচ্ছে, আর তা করছে ভারতীয় জনতা পার্টিই, এমন অভিযোগ তোলেন তিনি।

"১২ জন রেলযাত্রী সংক্রমিত, বন্ধ করুন সফর", টুইট করে পরামর্শ ভারতীয় রেলের

পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, "সরকারকে প্রথম দিন থেকেই ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছিল বিজেপি।" ২২ জন কংগ্রেস বিধায়ক একসঙ্গে পদত্যাগ করায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করা একরকম অসম্ভব ছিল কমল নাথ সরকারের পক্ষে। তাই সেই হারের আঁচ পেয়েই আস্থা ভোট হওয়ার আগেই ইস্তফা দিলেন তিনি, মনে করছে রাজনৈতিক মহল।  জানা গিয়েছে, সেই ২২ জন বিধায়কের পদত্যাগের জেরে কংগ্রেস ও সহযোগী মিলিয়ে সে রাজ্যে বিধায়ক সংখ্যা ৯৮। এদিকে, ম্যাজিক ফিগার কমে দাঁড়িয়েছে ১০৪। সেই হিসাবে ১০৭ জন বিধায়ক মিলিয়ে অনায়াসে সরকার গঠন করতে সক্ষম হবে বিজেপি। অঙ্কের হিসাব কষে তাই আস্থা ভোট আয়োজনের ঝুঁকি নেয়নি বিদায়ী কমল নাথ সরকার। 

উদ্বিগ্ন টলিউড: ভিডিও বার্তায় সতর্কতা রাজ্যবাসীকে

অপরদিকে, মধ্যপ্রদেশে কমল নাথ সরকারের আস্থা ভোট শুক্রবার ৫টার মধ্যে করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট । বিজেপি  শীর্ষ আদালতে এই বিষয়ে দ্রুত সমাধানের আর্জি জানিয়ে একটি পিটিশন জমা দিয়েছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ভোট গ্রহণ হতে হবে শান্তিপূর্ণ, কেবল হাত তোলার মাধ্যমে। পুরো ভোট প্রক্রিয়ারই ভিডিও তুলতে হবে এবং সেটি ‘লাইভ' অর্থাৎ সরাসরি সম্প্রচারও করতে হবে বলে আদালত জানিয়েছিল। 

.