Coronavirus in India: দেশে লাগাতার বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, চিন্তায় সরকার
হাইলাইটস
- করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তে জেরবার ভারত
- লকডাউনের মধ্যেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা
- সব মিলিয়ে মোট ২৩৯ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা ভাইরাস
নয়া দিল্লি: ভারতে ক্রমশই যেনো জাঁকিয়ে বসছে করোনা ভাইরাস। এখনও পর্যন্ত এদেশে করোনার (Coronavirus) শিকার ২৩৯ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টাতেই নতুন করে এই মারণ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১,০৩৫ জন, আর প্রাণহানি হয়েছে ৪০ জনের। সব মিলিয়ে মোট ৭,৪৪৭ জন আক্রান্ত (Coronavirus in India) COVID- 19 এ। এখনও পর্যন্ত দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মহারাষ্ট্রের মানুষ। ওই রাজ্যে ১,৩৬৪ জন আক্রান্ত করোনা ভাইরাসে। গত বছরের ডিসেম্বরে চিনের উহান প্রদেশ থেকে প্রথম এই রোগ ছড়ায়। বর্তমানে প্রায় গোটা বিশ্বই এই রাক্ষুসে ভাইরাসের দখলে।
ভারতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত রুখতে টানা ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ১৪ এপ্রিল সেই ২১ দিন পূর্ণ হওয়ার কথা। তবে যেভাবে দেশে করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে তাতে ওই দিন আদৌ লকডাউন তুলে নেওয়া হবে কিনা সে সম্পর্কে সংশয় থাকছে। কেননা ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী সর্বদলীয় বৈঠকে লকডাউন জারি রাখারই ইঙ্গিত দিয়েছেন। আজ (শনিবার) দেশের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করবেন নরেন্দ্র মোদি। মনে করা হচ্ছে ওই বৈঠকেই লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি হবে কিনা তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রাজ্যে আরও ১২ জনের দেহে সংক্রমণ। সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮৯
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার লকডাউন উঠে যাবে নাকি তা আরও কিছুদিনের জন্যে বাড়ানো হবে সে সম্পর্কে দেশের মানুষকে জানাতে ফের একবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সূত্র বলছে, লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা হলেও বেশ কিছু বিষয়ে মিলতে পারে ছাড়, লকডাউনের নিয়মেও আসতে পারে বেশ কিছু পরিবর্তন। প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলি বাদে এমনিতে আন্তঃদেশীয় যান চলাচল সীমিত থাকবে। স্কুল, কলেজ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোও পুরোপুরি বন্ধ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
করোনাকে কাবু করতে হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন তৈরির লাইসেন্স পেল বেঙ্গল কেমিক্যালস
মনে করা হচ্ছে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সংক্রমণ প্রবণ এলাকাগুলোতেই বেশি কড়াকড়ি করা হবে। এর ফলে একটা নির্দিষ্ট পরিকাঠামোতেও কাজ করতে পারবে সরকার। ফলে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।