This Article is From Apr 09, 2020

একদিনে ২৫ জন মৃত মহারাষ্ট্রে। সংক্রমিত ২২৯ জন

মহারাষ্ট্র থেকে একদিনে ২৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এই মৃত্যু ধরে রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা ৯৭। পাশাপাশি গত ৩৬ ঘণ্টায় সংক্রমণ ধরা পড়েছে ২২৯ জনের দেহে।

একদিনে ২৫ জন মৃত মহারাষ্ট্রে। সংক্রমিত ২২৯ জন

মুম্বইতে একটা স্টেডিয়ামকে আইসোলেশন কেন্দ্রে পরিণত করা হয়েছে।

মুম্বই:

সংক্রমণের নিরিখে দেশে এখন শীর্ষে মহারাষ্ট্র (Maharastra)। প্রায় ১ হাজার ৩০০ জন সংক্রমিত  (Corona positive)। সেই পরিস্থিতিতে লকডাউন অন্তত ৩০ এপ্রিল বাড়াতে কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। পর্যালোচনার পর্বে রয়েছে সেই আর্জি। ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্র থেকে একদিনে ২৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এই মৃত্যু ধরে রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা ৯৭। পাশাপাশি গত ৩৬ ঘণ্টায় সংক্রমণ ধরা পড়েছে ২২৯ জনের দেহে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, মৃত  এবং সংক্রমিতের সংখ্যা ধরলে একদিনে এটাই সর্বাধিক। জানা গিয়েছে মুম্বই থেকে বেশি সংক্রমিতের খবর মিলেছে। এদিকে, করোনা সংক্রমণ চিহ্নিত করতে নতুন পদ্ধতি দত্তক নিল আইসিএমআর।স্বাস্থ্য মন্ত্রক এই সংস্থার (ICMR) বেঁধে দেওয়া গাইডলাইন মেনে এযাবৎকাল সংক্রমণ প্রতিরোধে উদ্যোগ নিয়েছে। জানা গিয়েছে, নতুন পদ্ধতিতে সবার আগে সিল করা হয়েছে আঁতুড়ঘর। তারপর বাড়ানো হয়েছে নমুনা পরীক্ষার হার। সেই আঁতুড়ঘরের (Hotspot) বাসিন্দারা সংক্রমিতের সংস্পর্শে না আসলেও করা হচ্ছে তাঁদের পরীক্ষা। যদি তাঁদের শরীরে উপসর্গ পরিলক্ষিত হয়, তবেই হবে নমুনা পরীক্ষা। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছে আইসিএমআর। গত তিন সপ্তাহে পাঁচ ধরনের মানুষের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। 

হাওড়া জেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্তা-সহ দু'জন সংক্রমিত, জানাল স্বাস্থ্য দফতর

১) যারা গত দু'সপ্তাহে বিদেশ থেকে উপসর্গ নিয়ে এসছেন। 

২) সংক্রমিতদের সংস্পর্শে এসে সংক্রমিত হয়েছেন। নমুনা পরীক্ষায় রিপোর্ট পজিটিভ। 

৩) উপসর্গ আছে এমন স্বাস্থ্যকর্মীদের।

৪) শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা আছে এমন রোগী।

৫) উপসর্গ নেই কিন্তু সংক্রমিতের সংস্পর্শে এসেছেন, এমন নাগরিক।

এদিকে, করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় জাতীয় ও রাজ্য স্তরে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে মজবুত করতে পুরোপুরি কেন্দ্রীয় উদ্যোগে ১৫,০০০ কোটি টাকার পাঁচ বছরের এক স্বাস্থ্য প্রকল্পের অনুমোদন মিলল বুধবার। সরকারের তরফে একথা জানানো হয়েছে। এটি তিনটি দফায় বিভক্ত। প্রথমটি ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে জুন। পরেরটা ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের মার্চ। তৃতীয়টি ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ। এই তহবিলকে প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হবে। এই প্রকল্পের অধীনে যেসব পরিকল্পনা রয়েছে তার অন্যতম কোভিড-১৯ হাসপাতাল, আইসিইউ নির্মাণ এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অক্সিজেন সরবরাহ।

.