This Article is From Jun 09, 2020

করোনা বধে তৎপর মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যে জারি করলেন নতুন নির্দেশিকা

এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন যে বিবাহ, শশ্মান যাত্রা বা অন্য কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দশ জনের বেশি যোগ দিতে পারবে না

করোনা বধে তৎপর মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যে জারি করলেন নতুন নির্দেশিকা

সাইকেল আরোহীদের জন্য কোন রাস্তা ব্যবহার করা হবে তা দেখার ভার পুলিশের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (ফাইল)

কলকাতা:

রাজ্যে কোভিড-১৯-এ (COVID-19) আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন আরও নয় জন এবং নতুন ভাবে সংক্ৰমিত হয়েছেন ৪২৬জন। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ঘোষণা করেছিলেন যে বিবাহ, শশ্মান যাত্রা বা অন্য কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দশ জনের বেশি যোগ দিতে পারবে না, সোমবার থেকে সেই সীমা বৃদ্ধি করে ২৫ করা হল।অন্যদিকে সামান্য একটা বিভ্রান্তির সৃষ্টি কর তিনি আরও বলেন, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত রাজ্যে লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হচ্ছে।আসলে যে সমস্ত কোন্টাইনমেন্ট এলাকায় আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল, সেই সমস্ত এলাকার ক্ষেত্রে এই সময় সীমা বর্ধিত করা হল।  

এরমধ্যে সোমবার অফিস যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বেরিয়ে খুবই বিপদের মধ্যে পড়তে হয়েছে বেশ কিছু সাধারণ মানুষদের, মুখ্যমন্ত্রী মমতা নিজে মুখে এই কথা স্বীকার করেছেন। তাই সম্ভব হলে তারা যাতে সাইকেলে করে অফিস যেতে পারেন সেই বিষয়ে উৎসাহিত করতে চেয়েছেন তিনি।সাইকেল আরোহীরা কোন রাস্তা ব্যবহার করবে, তা নির্দিষ্ট করার দায়িত্ব তিনি প্রশাসনের ওপরেই ছেড়ে দিয়েছেন।আসলে তিনি জানিয়েছেন,"সাইকেল চালকরা ভারী ট্র্যাফিকের সাথে চলাচল করলে তাদের সুরক্ষার বিষয়ে উদ্বেগ দেখা পারে।''

তিনি আরও বলেন, ''অফিসে একটু দেরি হলে তাতে কোন সমস্যা নেই, মানুষের জীবন সুরক্ষিত রাখাটা বেশি জরুরি।বর্তমানে রাস্তায় ৫০০০ বাস ও অটো চলছে, কিন্তু কোনও লোকাল ট্রেন বা মেট্রো চলছে না।'' আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, অটো-তে দুজনের বেশি যাত্রী উঠতে পারবে না।বসে যাত্রা করার সময়তেও মেনে চলতে হবে সামাজিক দূরত্বের বিধি, এমনটাই জানানো হয়েছিল সরকারের তরফ থেকে।সন্ধ্যা পর্যন্ত রাস্তায় দেখা গেছে বিপাকে পড়ে থাকা বহু মানুষের ঢল। 

এর আগে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী, যাদের বাড়ির লোকেরা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন তাদের জন্য সমবেদনা জানিয়েছেন। আর সেই কারণেই তিনি শেষবারের মতো দর্শনের জন্য আধা ঘন্টা আগে দেহ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফ থেকে। এর আগে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুর পর তাদের পার্থিব শরীর পরিবারের হাতে দেওয়া হচ্ছিল না। তবে এখন যাতে পরিবারের লোকেরা তাদের শেষবারের মত দেখতে পায়, সেই কথা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফ থেকে।  

.