স্বাধীনতা দিবস ও প্রজাতন্ত্র দিবসের সময় রঙিন পাগড়ি পরার তাঁর ঐতিহ্য বজায় রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বরাবরই এই ধরনের অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন রঙের পাগড়ি পরে উপস্থিত হতে। ৭১তম প্রজাতন্ত্র দিবসে তাঁকে দেখা গেল গেরুয়া ‘বান্ধেজ' পরিহিত অবস্থায়। বরাবরের মতো কুর্তা, পাজামা ও জ্যাকেট পরে এদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। নবনির্মিত ‘ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল'-এ তাঁকে দেখা যায় যুদ্ধে শহিদ হওয়া ভারতীয় সেনাদের উদ্দেশে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে। প্রসঙ্গত, এতকাল ইন্ডিয়া গেটের সামনে ‘অমর জওয়ান জ্যোতি'-তেই এই শ্রদ্ধা নিবেদন করতে দেখা যেত প্রধানমন্ত্রীদের।
বান্ধেজ হল রঙিন কাপড়। যা গিঁট বেঁধে ও রং করে তৈরি করা হয়। সাধারণত রাজস্থান ও গুজরাতেই এই পাগড়ির প্রচলন রয়েছে।
গত বছরের স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লায় বহুরঙা পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পর সেটাই ছিল তাঁর প্রথম স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ প্রদান।
২০১৪ সালে প্রথমবার স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রীর পরনে ছিল উজ্জ্বল লা রঙের এক যোধপুরী বান্ধেজ, যার নীচের অংশ ছিল সবুজ।
এরপর ২০১৫ সালে তাঁর পরনে ছিল হলুদ পাগড়ি, যার মধ্যে লাল ও গাঢ় সবুজ সহ নানা রঙের ‘শেড' ছিল। ২০১৬ সালে গোলাপি ও হলুদ রঙে রঞ্জিত পাগড়ি পরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
২০১৭ সালে লাল ও হলুদ মিশ্রিত সোনালি রেখা চিহ্নিত পাগড়ি পরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৮ সালে পরেছিলেন গেরুয়া পাগড়ি।
কচ্ছের উজ্জ্বল লাল বন্ধনী থেকে রাজস্থানি ‘সাফা'— প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রজাতন্ত্র দিবসের উপস্থিতিতেও বৈচিত্রের নিদর্শন রেখেছেন।
২০১৯ সালে প্রজাতন্ত্র দিবসে হলদেটে কমলা পাগড়ি পরেছিলেন তিনি, যার নীচের দিকটা ছিল লাল রঙের।