উত্তরপূর্বাঞ্চলে জঙ্গি বিদ্রোহে মহিলা রাইফেলসের ভূমিকা ছিল অসামান্য
নিউ দিল্লি: আসাম রাইফেলস এবং প্যারা মিলিটারির ইতিহাসে প্রথমবার ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে এবার রাষ্ট্রপতিকে শুভেচ্ছা জানাবেন কেবলমাত্র মহিলাদের দল। এই মহিলা সেনা দলে এমনও অনেকেই রয়েছেন যারা নিহত সৈন্য পরিবারের সদস্য, এবং তাঁদের স্বজনের মৃত্যুর তাঁরাও সেনাদলের চাকরিতেই যোগ দেন।
সমাবেশের আগে টুইট করে নেতা এবং দলীয় কর্মীদের স্বাগত জানালেন মমতা
রাইফেল দলের সুনীতা থাপা যেমন তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পরে এই চাকরিতে নিয়োগের প্রস্তাব পেয়েছিলেন, তিনি বলেন, “স্বামীর স্বপ্ন পূরণের জন্যই তিনি এই কাজেই মনোনিবেশ করেছেন।” এই সিদ্ধান্তে তাঁকে পূর্ণ সমর্থন জুগিয়েছে তাঁর পরিবার। বাড়িতে পাঁচ বছরের একটি ছেলেও রয়েছে তাঁর। সুনীতা বলেন, “আমার পুরো পরিবার আমাকে নিয়ে গর্বিত এবং আমি আসাম রাইফেলসকে নিয়ে গর্বিত।"
সুনীতা থাপা আরও জানান, ছুটিতে থাকা অবস্থায় তাঁর স্বামী একটি দুর্ঘটনায় মারা যান এবং তিনি একজন সৈনিক হিসাবেই তাঁর স্বামীর স্বপ্ন পূরণ করতে চান।
দেড় বছর আগে সেনাবাহিনীতে যোগদানকারী আরেকজন রাইফেল সেনা গায়ত্রী শর্মা বলেন, তাঁর বাবা ২০০১ সালে শহীদ হয়েছিলেন, তাঁর বাবার পরিবর্তে এই বাহিনীতে তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছিল। এই সৈনিক বলেন যে, তাঁর যখন মাত্র ৩ বছর বয়স, তিনি আসাম রাইফেলস জওয়ান বাবাকে হারান।
“সমীকরণের ব্রিগেড”! তৃণমূলের মঞ্চে কারা, দেখে নিন
গায়ত্রী বলেন, "আমি আসাম রাইফেলস থেকে বাহিনীতে যোগ দেওয়ার একটি চিঠি পাই। আমার দেশের জন্য আমিও আমার বাবার মতোই দায়িত্ব পালন করবো।" তিনি আরও বলেন, "প্রজাতন্ত্র দিবসের অংশ হতে পেরে আমি সম্মানিত"।
মেজর খুসবু কানওয়ারের নেতৃত্বাধীন দলটিতে দুই কর্মকর্তা বাদে ১৪৪ জন সদস্য রয়েছেন। মেজর বলেন, "ইতিহাসে প্রথমবার, রাজপথে কেবল মহিলাদের সামরিক বাহিনী পদযাত্রা করবে।" তিনি জানান, উত্তরপূর্বাঞ্চলে জঙ্গি বিদ্রোহে মহিলা রাইফেলসের ভূমিকা ছিল অসামান্য।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)