রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি লিখে বলা হয়, সেনাকে 'ব্যবহার' করা হচ্ছে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে
নিউ দিল্লি: লোকসভা নির্বাচনের(Loksabha Elections 2019) আগে সেনাবাহিনীকে নিয়ে অযথা টানাটানি করা হচ্ছে এবং 'সেনার সশস্ত্র বাহিনীকে নিয়ে রাজনীতিকরণ করা হচ্ছে' বলে শুক্রবারই রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে নিজেদের আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন চারজন সেনাকর্তা। একদিনও পুরোপুরি হয়নি, তার মধ্যেই ওই চারজনের মধ্যে তিনজনই ওই চিঠির দায় নিতে অস্বীকার করলেন! বাকি যিনি রয়ে গেলেন একা, তিনি জানালেন, এতে তিনি বিন্দুমাত্র ভেঙে পড়ছেন না। কারণ, ওই তিনজন যে সহমত ছিলেন এই ব্যাপারে, তার প্রমাণ রয়ে গিয়েছে তাঁদের চালাচালি করা ই-মেলে। তবে, এই ঘটনাপ্রবাহে রীতিমত হতভম্ব হয়ে গিয়েছেন সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল সুনীল বম্বাটকেরে। সেই হতভম্ব হয়ে যাওয়া মনোভাবটা স্পষ্ট ধরা পড়ল এনডিটিভির কাছে।
"রাহুল গান্ধী তো মাস্টার্স না করেই এম ফিল হয়ে গেছেন", বললেন অরুণ জেটলি
তিনি বলেন, "আমি সত্যিই বুঝতে পারছি না, কেন এই চিঠিটি থেকে নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছেন ওঁরা। নিশ্চয়ই ওঁদের কাছে কোনও যুক্তিযুক্তি কারণ রয়েছে, যার ওপর ভিত্তি করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। সেই সিদ্ধান্তকে আমি সম্মান করি। তবে, তার সঙ্গে, এটাও বলে রাখি যে, তাঁদের পাঠানো এবং আমার পাঠানো এই বিষয়ে সমস্ত ই-মেলের রেকর্ড আমার কাছে আছে। যা দেখলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে যে, এই ব্যাপারে তাঁরা প্রাথমিকভাবে সহমত পোষণ করেছিলেন, এখন যতই পিছিয়ে আসুন না কেন"।
সেনাকে সামনে রেখে মোদীর মতো ভোট চাইব না: মমতা
তিনি জানান প্রাক্তন এয়ার চিফ মার্শাল নির্মল চন্দ্র সুরি এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান জেনারেল এস এফ রডরিগজও ছিলেন ওই চিঠিতে সহমত পোষণকারীদের মধ্যে।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে জানানো হয় যে, এমন কোনও মেল তাদের কাছে আসেনি। তাতেও যথেষ্ট অবাক হয়েছেন মেজর জেনারেল সুনীল ভমবাটকেরে। তিনি বলেন, মেজর প্রিয়দর্শী চৌধুরী তিনটি ঠিকানায় পাঠিয়েছিলেন মেলটি। আমার যতদূর মনে আছে, তার মধ্যে একটি ঠিকানা হল, presidentofindia@rb.nic.in। কেন তারা এই মেল পাননি বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ভবনের আধিকারিকরা, তা আমি কিছুতেই বুঝতে পারছি না।