Read in English
This Article is From Jun 03, 2018

সংঘর্ষে এক কাশ্মীরির মৃত্যু, বাহিনীকে লক্ষ করে ছোঁড়া হল 3' টি গ্রেনেড

সিআরপিএফের জিপের তলায় চাপা পড়ে এক সাধারণ মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত শ্রীনগর শনিবার সিআরপিএফের গাড়ি লক্ষ্য করে তিন-তিনটে গ্রেনেড ছুঁড়ে মারে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Translated By (with inputs from PTI)

Highlights

  • শ্রীনগরে তিনটি গ্রেনেড ছোড়া হয় সিআরপিএফের গাড়ি লক্ষ করে।
  • নিরাপত্তাবাহিনীর দিকে পাথর ছুড়তে আরম্ভ করে সাধারণ মানুষ।
  • শনিবারের তিনটি গ্রেনেড আক্রমণের ফলে চারজন সিআরপিএফ জওয়ান আহত হয়েছেন।
নিউ দিল্লি/শ্রীনগর: সিআরপিএফের জিপের তলায় চাপা পড়ে এক সাধারণ মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত শ্রীনগর শনিবার সিআরপিএফের গাড়ি লক্ষ্য করে তিন-তিনটে গ্রেনেড ছুঁড়ে মারে। শনিবারের তিনটে বিস্ফোরণের ঘটনায় আটজন আহত হয়। তাদের মধ্যে চারজন সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের কর্মী। এর আগে চার নম্বর বিস্ফোরণের কথাও শোনা গিয়েছিল। পরে পুলিশ জানায়, ওটা সম্ভবত একটি টায়ার বিস্ফোরণ ছিল।

পরিস্থিতি বিচার করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়ে চারপাশে কঠোর সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গত রাতে 21 বছরের কায়সার ভাটের মৃত্যুর পর  পরিস্থিতি এত ভয়াবহ আকার নিচ্ছিল যে, এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় প্রশাসন। পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনাটিকে ঠাণ্ডা মাথার খুন বলে চালাতে চাইছিল এবং এই ঘটনার কারণে গোটা কাশ্মীরকে স্তব্ধ করে দিতে চাইছিল যারা,  কাশ্মীরের সেই 'বিচ্ছিন্নতাবাদী'দের গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।

কায়সরের অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়াতে থাকার জন্য শয়ে শয়ে মানুষ তার বাড়ির সামনের রাস্তায় জড়ো হয়েছিল।

Advertisement
 সিআরপিএফের গাড়ির ওপর প্রতিবাদীদের আক্রমণ

এই গোটা জমায়েতটি ইদগাহ ময়দানে যাওয়ার সময় মাঝরাস্তা পেরিয়ে যাওয়ার কিছুটা পরেই নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে বাধা পায়। জমায়েতকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য এটি করা হয়েছিল। সেই সময়েই ওই জমায়েত থেকে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ করে পাথর ছোড়া হতে থাকে।  উল্টোদিক থেকেও উড়ে আসে টিয়ার গ্যাসের শেল এবং প্যালেট। এর মধ্যেই কিছু মানুষ কায়সরের দেহ নিয়ে ইদগাহ ময়দানে পৌঁছে যায়।

Advertisement
শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাথর ছোঁড়ার ঘটনার খবর আসতে থাকে। "পাথর ছোঁড়ার কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে শহরের কয়েকটি প্রান্তে। আমাদের পুলিশকর্মীরা ওই ঘটনাকে বাধা দেওয়ার জন্য ন্যূনতম শক্তি ব্যবহার করেছে"। কাশ্মীরের পুলিশ প্রধান এস পি পানি বলেন নিউজ এজেন্সি এএফপিকে।

এখনও পর্যন্ত শুক্রবারে সিআরপিএফের জিপ লক্ষ করে আক্রমণ করার ঘটনায় দুটি কেস নথিভুক্ত করা হয়েছে। গাড়ির চালক ওই পাথর এবং রডের আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে জোরে গাড়ি চালিয়ে জায়গাটি ছেড়ে পালানোর সময় কায়সর ভাট সহ তিনজনের উপর দিয়ে চলে যায়। যার ফলে কায়সরের মৃত্যু হয়।

Advertisement
বিরোধীরা ক্যামেরায় ধরা পড়া এই ভয়াবহ ঘটনা নিয়ে মেহবুবা মুফতি সরকার এবং পুলিশের বিরূদ্ধে সোচ্চার হয়েছে।  

পুলিশ জানিয়েছে, বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর জন্য সিআরপিএফের গাড়িচালকের বিরূদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরেকজন অজ্ঞাত পরিচয়ের মানুষের বিরূদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে, গাড়িতে বসে থাকা সিআরপিএফ জওয়ানকে হত্যা করতে গিয়েছিল যে।
Advertisement