ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক প্রশান্ত কানোজিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
হাইলাইটস
- দিল্লির এক সাংবাদিককে শনিবার উত্তরপ্রদেশ পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
- বেসরকারি টেলিভিশন নিউজ চ্যানেলের মালিক ও সম্পাদককেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
- তাঁদের বিরুদ্ধে যোগী আদিত্যনাথকে অবমাননার অভিযোগ তুলেছে পুলিশ।
নিউ দিল্লি: দিল্লির এক সাংবাদিককে শনিবার উত্তরপ্রদেশ পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সম্পর্কে আপত্তিকর পোস্ট করেছেন। ওইদিনই সন্ধ্যায় এক বেসরকারি টেলিভিশন নিউজ চ্যানেলের মালিক ও সম্পাদককে নয়ডায় গ্রেফতার করা হয় যোগী আদিত্যনাথ সম্পর্কে অপমানজনক বিষয় সম্প্রচারের অভিযোগে। পুলিশ সূত্রের খবর, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক প্রশান্ত কানোজিয়াকে লখনউয়ের পুলিশ আধিকারিকের করা অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। কানোজিয়া একটি ভিডিও টুইটার ও ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন। সেই ভিডিওয় দেখা যাচ্ছিল, এক মহিলা যোগী আদিত্যনাথের অফিসের সামনে সংবাদমাধ্যমের সামনে জানাচ্ছেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন।
পশ্চিমবাংলায় লক্ষ্য ২৫০ আসন, ২০২১-এর জন্য ব্লু প্রিন্ট তৈরি করছে বিজেপি
তথ্য আইনের ৬৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছে। কানোজিয়ার টুইটার হ্যান্ডল থেকে জানা যাচ্ছে, তিনি মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয় ও ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ মাস কমিউনিকেশনের প্রাক্তন ছাত্র। বহু সংবাদমাধ্যম সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত তিনি। পশ্চিম দিল্লির বিনোদ নগরে তাঁর বাড়ি থেকে তাঁকে শনিবার বিকেলে আটক করে পুলিশ। তাঁকে লখনউতে নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার করা হয়।
ওই সাংবাদিকের গ্রেফতারি নিয়ে টুইটারে অনেকেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কানোজিয়ার প্রাক্তন কর্মস্থল ‘দ্য ওয়্যার'-এর সম্পাদক সিদ্ধার্থ বরদারাজন টুইটারে জানিয়েছেন এটি ‘‘... গ্রেফতার করাটা আইনের অপব্যবহার।''
আর একটি ঘটনায়, ‘নেশন লাইভ' টেলিভিশন চ্যানেলের মালিক ও সম্পাদককে নয়ডা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে শনিবার।
৬ জুন চ্যানেলে চলতে থাকা একটি বিতর্কসভায় ওই মহিলা, যাঁর ভিডিও শেয়ার করেছিলেন প্রশান্ত কানোজিয়া, তিনি আদিত্যনাথ সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেন।
বিজেপি না তৃণমূল, কোন কূল সামলাবেন? জানাবেন প্রশান্ত কিশোরই: নীতিশ কুমার
ঈশিকা সিংহ, ওই চ্যানেলের মালিক এবং অনুজ শুক্ল, সম্পাদক— দু'জনকেই গ্রেফতার করা হয়। এক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন, ওই মহিলার বক্তব্যের সত্যাসত্য বিচার না করেই তা প্রদর্শন করেছে ওই চ্যানেল। পুলিশ আধিকারিক বৈভব কৃষ্ণ জানিয়েছেন, ‘‘এর ফলে সম্ভাব্য আইনি পরিস্থিতি তৈরি হয়।''
তিনি এও বলেন, তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই চ্যানেলের কোনও লাইসেন্স নেই। নয়ডার এক জেলা আধিকারিকের তরফে চ্যানেলের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্প্রসারণের অতিরিক্ত অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই পুলিশ আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘‘তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে অবমাননামূলক সম্প্রচার ও চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রসারণের কারণে।''
চ্যানেলের বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি।