অনন্তনাগের (Anantnag) খুলচোহর এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের (Terrorists) তীব্র গুলির লড়াই, খতম করা সম্ভব হয়েছে ৩ জঙ্গিকে। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বেশ কয়েকটি জায়গায় ঘাপটি মেরে থেকে তলে তলে নাশকতামূলক কাজকর্মের পরিকল্পনা করছে জঙ্গিরা, এই খবর পেয়েই বিভিন্ন জায়গায় চিরুণি তল্লাশি শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। তখনই জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। বেশ কিছুক্ষণ চলে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই। শেষপর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানদের চালানো গুলিতে (J&K Encounter) খতম হয় ওই জঙ্গিরা। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের তরফ থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে, "খতম হওয়া জঙ্গিদের পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। আরও কোথাও জঙ্গিরা লুকিয়ে আছে কিনা তা জানতে তল্লাশি অভিযান চলছে"।
জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগে জঙ্গি হানা, শহিদ এক সিআরপিএফ জওয়ান
গত ২৬ জুনও ত্রালে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই চলে। সেই সময়ও সেনার গুলিতে খতম হয় ৩ জঙ্গি। জানা গেছে, চেওয়া উল্লার গ্রামে কিছু জঙ্গি ঘাঁটি গেঁড়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের কাছ থেকে এই খবর পাওয়ার পরেই তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ বাঁধে সেদিন।
বাংলা গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযানের সুবিধা না পাওয়ায় দায়ী রাজ্য সরকার!
আবার ওইদিনই জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। আচমকা হওয়া এই জঙ্গিহানায় শহিদ হন এক সিআরপিএফ জওয়ান। অনন্তনাগের বিজেহেরায় রোজকার মতো যখন টহল দিচ্ছিলেন নিরাপত্তাকর্মীরা, সেই সময়ই কিছু জঙ্গি বাইকে করে এসে তাঁদের লক্ষ্য করে সন্ত্রাস হামলা চালায়। জবাবে, নিরাপত্তা বাহিনী গোলাগুলি ছুঁড়তে শুরু করলে চম্পট দেয় জঙ্গিরা। তবে তারই মধ্যে জঙ্গিদের চালানো গুলিতে ঘায়েল হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই জওয়ানের। পাশাপাশি সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হয়ে স্থানীয় এক ১২ বছরের বালকেরও মৃত্য়ু হয়।
তবে বারেবারেই এই অভিযোগ উঠেছে যে, কাশ্মীরে ঘাপটি মেরে থাকা জঙ্গিদের বাইরে থেকে মদত জোগাচ্ছে পাকিস্তান। কিছুদিন আগেও জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়ার কাছে একটি অস্ত্র বহনকারী ড্রোনকে গুলি করে নামায় বিএসএফ। ওই পাকিস্তানি ড্রোনের ভেতর থেকে একটি এম-৪ আমেরিকায় তৈরি রাইফেল, ২টি ম্যাগাজিন, ৬০ রাউন্ড বুলেট এবং সাতটি গ্রেনেড উদ্ধার হয়। অনুমান, জম্মু ও কাশ্মীরে ঘাপটি মেরে থাকা জঙ্গিদের সাহায্যের জন্যেই পাকিস্তান থেকে ড্রোন মারফৎ ওই অস্ত্র জোগান দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল, যা ব্যর্থ করে দেয় বিএসএফ।
জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত সম্পর্কে এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, " নির্লজ্জভাবে জঙ্গিদের মদত দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যায় পাকিস্তানি এজেন্সিগুলো। কাশ্মীরের শান্তি ও শৃঙ্খলা ব্যাহত করার লক্ষ্যেই জঙ্গিদের মদত জোগাচ্ছে তারা"।