This Article is From Oct 18, 2019

থানায় এক ব্যক্তিকে খুনের দায়ে অভিযুক্ত তিন পুলিশ কর্মী, গ্রেফতার ১

অভিযোগ, ধৃত ব্যক্তির ১০ বছরের ছেলেকে থানার বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। তার হাতে চিপসের প্যাকেট ধরিয়ে দিয়ে তাকে মুখ বন্ধ রাখতে বলা হয়।

থানায় এক ব্যক্তিকে খুনের দায়ে অভিযুক্ত তিন পুলিশ কর্মী, গ্রেফতার ১

অভিযোগ দায়ের করার ১২ ঘণ্টার পরে একজন গ্রেফতার হয়েছেন।

হাপুর:

এক ৩৫ বছরের যুবককে অত্যাচার করে থানার মধ্যে খুন (Murder) করার অভিযোগ আনা হয়েছে (Cops Charged With Man's Murder) এক ডেপুটি সুপারিন্টেনডেন্ট সহ তিন পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ দায়ের করার ১২ ঘণ্টার পরে একজন গ্রেফতার হয়েছেন। রবিবার প্রদীপ তোমারকে আটক করা হয় হাপুরের এক পুলিশ পোস্টে। দিল্লি থেকে ১০৭ কিমি দূরে হাপুর। মাস দেড়েক মাগে খুন হয়েছিলেন প্রদীপের স্ত্রী। সেই নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় তাঁর উপরে অত্যাচার করার অভিযোগ উঠল থানার পুলিশ কর্মীদের উপরে। নিহত ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগ, তাঁর উপরে অকথ্য অত্যাচার চা‌লিয়েছে পুলিশ। আরও অভিযোগ, ধৃত ব্যক্তির ১০ বছরের ছেলেকে থানার বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। তার হাতে চিপসের প্যাকেট ধরিয়ে দিয়ে তাকে মুখ বন্ধ রাখতে বলা হয়।

বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে গুলি বিজিবি-র, শহিদ হলেন এক বিএসএফ জওয়ান

অভিযোগ, ওই পুলিশকর্মীরা সকলেই মদ্যপ ছিল। NDTV-কে ওই ছেলেটি বলে, ‘‘একটি টোল ট্যাক্স বুথ থেকে আমাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ওঁকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। ওরা ওঁকে ইলেকট্রিক শক দিয়েছিল। লাঠি দিয়ে মারছিল, স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে আঘাত করছিল। আমার মুখে একটা বন্দুক ঢুকিয়ে বলা হয়েছিল মুখ বন্ধ করে রাখতে। পরে এক পুলিশ কর্মী আমাকে একটা চিপসের প্যাকেট দেন। আমি পুলিশ স্টেশনের বাইরে দাঁড়িয়ে কাঁদছিলাম।''

মৃত ব্যক্তির পরিবার একটি ভিডিও তুলেছে। সেই ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, মৃতের শরীরে ও পোশাকে রক্তের দাগ। শরীরে কালো আঘাতের চিহ্ন।

সার্কেল অফিসার সন্তোষ কুমার, এসএইচও যোগেশ বলীয়ান, সাব-ইনস্পেকটর আজব সিংহ এবং এক নাম না জানা ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৩০২ (খুন) ও ৩২৩ (নিগ্রহ) ধারায় মামসা রুজু করা হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন হাপুর পুলিশ প্রধান যশবীর সিংহ। মৃত প্রদীপ তোমারের ভাইয়ের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েকজনকে এরই মধ্যে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আরও পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

বুধবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে একটি রিপোর্ট পেশ করে এই ঘটনার বিষয়ে তাদের পর্যবেক্ষণ জানায় উত্তরপ্রদেশ মুখ্য সচিব ও রাজ্য পুলিশ প্রধানকে।

উত্তরপ্রদেশ পুলিশ প্রধান ওপি সিংহকেও ওই রিপোর্টে উদ্দেশ করে জানানো হয়, অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

মুখ্য সচিবের কাছে আর্জি জানানো হয়, মৃতের পরিবারের ন‌িরাপত্তার বিষয়ে। তার মধ্যে বিশেষ করে উল্লেখ করা হয় প্রদীপ তোমারের ১০ বছরের ছেলের কথা।

(তথ্যসূত্র: পিটিআই)

.