এখানে রইল ১০'টি তথ্য:
করোনা আক্রান্ত অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকার যে রং এর কোড ব্যবহার করতে চলেছে, তার ফলে দেশের অর্ধেক লাল অথবা কমলা রং হতে চলেছে, রবিবার জানা যায়, সমস্ত জেলার ৫০ শতাংশের বেশি করোনা আক্রান্ত। চলতি পরিস্থিতিতে দেশের ৩৬৪টি জেলা করোনা আক্রান্ত, ৬ এপ্রিল সংখ্যাটা ছিল ২৮৪ এবং ২৯ মার্চ ছিল ১৬০।
মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইঙ্গিত দেন, দু সপ্তাহের জন্য বাড়তে পারে লকডাউনের মেয়াদ, তবে কিছু এলাকায়া ছাড় দেওয়া হতে পারে, এবং অর্থনীতিতে সচল রাখতে কিছু ক্ষেত্রেও ছাড় মিলতে পারে।
রাজ্যগুলির মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্র (১,৯৮৫), দিল্লি (১,১৫৪), তামিলনাড়ু (১,০৭৫), রাজস্থান (৮০৪), এবং মধ্যপ্রদেশ (৫৩২) এবং গুজরাট (৫১৬)।
দিল্লিতে, রবিবার সন্ধ্যায় ১০টি নতুন করোনা ভাইরাস হটস্পট চিহ্নিত হয়, ফলে দিল্লিতে করোনা ভাইরাস হটস্পট ৪৩টি।
মন্ত্রকে কাজ চালু করা থেকে স্পষ্ট, করোনা ভাইরাস নিয়ে কৌশল বদল করতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার, মানুষের জীবনের সুরক্ষার পাশাপাশি অর্থনীতিকেও বাঁচিয়ে রাখার কৌশল কেন্দ্রের। এদিন সকাল সকাল নিজেদের মন্ত্রকে যান, প্রকাশ জাভরেকড়, ডিভি সদানন্দ গৌড়া, অর্জুন মুণ্ডা, কিরেণ রিজিজু।
পদস্থ আধিকারিকের সরকারি পরিবহন দেওয়া হয়, অর্থাৎ যুগ্ম সচিব এবং তার ওপরের পদস্থ আধিকারিকদের ক্ষেত্রে, সোমবার থেকে স্বাভাবিক কাজ শুরু হয় বলে সূত্রের খবর। আরও জানানো হয়েছে, সমস্ত জরুরি কর্মীদের এক তৃতীয়াংশ উপস্থিত থাকতে হবে। রোটেশন পদ্ধতিতে মন্ত্রকে আসবেন নীচু তলার কর্মীরা। লকডাউনের পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে পরিকল্পনা করতে বলা হয়েছে প্রতিটি মন্ত্রককে।
দেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের এক তৃতীয়াংশ গতমাসে দিল্লিতে ধর্মীয় জমায়েতে যুক্ত, এলাকাটিকে করোনা ভাইরাসের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাস অতিমারী এবং লকডাউনের কারণে ধাক্কা খেয়েছে দেশের অর্থনীতি। বিশ্বব্যাঙ্ক ইঙ্গিত দিয়েছে যে, চলতি আর্থিক বছরে ভারতের বৃদ্ধির হার হবে ১.৫ থেকে ২.৮ শতাংশ. গত আর্থিক বছরে যা ছিল ৪.৮-৫.০ শতাংশ। আইএমএফও আন্তর্জাতিক মন্দা নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে, তারা জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি আর্থিক সঙ্কট দেখা দিতে পারে, যা আগে কখনও দেখা যায়নি, সঙ্কট কাটাতে ব্যাপক দাওয়াই প্রয়োজন।
২৪ ঘন্টায় আমেরিকায় করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ১,৫১৪ বলে জোন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে। বাল্টিমোরের বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, মার্কিন মুলুকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫,৫৫,৩১৩ জন।