৩৩০০০ রুদ্রাক্ষ দিয়ে নির্মিত বাল সাহেব ঠাকরের প্রতিকৃতি
হাইলাইটস
- ৩৩ হাজার রুদ্রাক্ষ নির্মিত বাল ঠাকরের প্রতিকৃতি
- বাল ঠাকরের ৯৩ তম জন্ম দিবসে মুম্বাইয়ের শিল্পীর শ্রদ্ধা
- মুম্বাইয়ে নির্মিত হবে স্মৃতিসৌধ
মুম্বাই: বাল ঠাকরের ৯৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে, ৩৩ হাজার রুদ্রাক্ষ দিয়ে শিব সেনার প্রতিষ্ঠাতা প্রতিকৃতি নির্মাণ করে রেকর্ড গড়লেন। মুম্বাইয়ের শিল্পী চেতন রাউত সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, "বালসাহেব ঠাকরের রুদ্রাক্ষের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক ছিল, তাই আমি এই প্রতিকৃতিটি তৈরি করতে চেয়েছিলাম। এটি একটি ৮ x ৮ ফুট প্রতিকৃতি এবং ৩৩,০০০ রূদ্রাক্ষ দ্বারা গঠিত, আমি একটি বিশ্ব রেকর্ড তৈরি করার চেষ্টা করেছি।” ছবিটি মঙ্গলবার শিব সেনা ভবনের সামনে রাখা হয়েছিল।
গাছের মতো হয়ে যাচ্ছে সারা শরীর, জানুন বাংলাদেশের আবুল বাজান্দারের কথা
প্রতিকৃতিতে ত্রৈমাত্রিক প্রভাব দেওয়ার জন্য বিভিন্ন রঙের রুদ্রাক্ষ ব্যবহার করা হয়েছে।
বাল ঠাকরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ শিব সেনা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবীস, শিবসেনা প্রধান উদ্ভব ঠাকরে, মেয়র বিশ্বনাথ মহাদেশ্বর, মুম্বাই সিভিক গ্রুপের প্রধান অজয় মেহতা এবং বালসাহেব ঠাকরে রাষ্ট্রীয় স্মারক ন্যাসের সদস্য। বাল ঠাকরের স্মৃতিসৌধ নির্মাণ ও জমির জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে মহারাষ্ট্র সরকার।
সূত্রের খবর, কিছু নেতা চান স্মৃতিসৌধের জমির পুজোর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হোক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে, বা তিনিই ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করুন। এই অনুষ্ঠানটি এই মাসের শেষ নাগাদ অনুষ্ঠিত হতে পারে। ট্রাস্টের সদস্য নির্মাণশিল্পী শশী প্রভু সংবাদ সংস্থাকে জানান, উদ্বভ ঠাকরে সহ ট্রাস্টিরা আজ জমি পরিদর্শন করবেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে জমি অধিগ্রহণ গ্রহণ করবেন।
গিরিখাত থেকে পড়ে মৃত্যু ‘বিকিনি ক্লাইম্বার'-এর
শশী প্রভু জানান, স্মৃতিসৌধের কাজ ফেব্রুয়ারিতে শুরু হতে পারে। স্মৃতিস্তম্ভের জন্য নির্বাচিত জমিতে বর্তমানে মুম্বাইয়ের মেয়রের বাংলো রয়েছে, যা ১৯২৮ সালে নির্মিত একটি ঐতিহ্যবাহী সম্পত্তি। চার একর জমির উপরে বিস্তৃত, এটি একটি সমুদ্রের মুখোমুখি থাকা সম্পত্তি, প্রায় ১১,৫০০ বর্গ মিটার জুড়ে নির্মিত এই ভবন গত বছর বাল ঠাকরে ট্রাস্টকে হস্তান্তর করা হয়েছিল। এক নাগরিক কর্মকর্তা বলেন, স্মারক এলাকাটি উপকূলীয় নিয়ন্ত্রণ অঞ্চলের আওতায় আসায় সৌধ নির্মাণে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে। তিনি বলেন, "এটি একটি ঐতিহ্যবাহী স্থান। আমরা সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার কাছ থেকে অনুমোদন পাওয়ার আশা করছি।"