গত একবছরে মৃত ২৯২ জন শহিদের মধ্যে শীর্ষে সিআরপিএফ।
নাগপুর: ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এবছরের আগস্টের মধ্যে সন্ত্রাস-বিরোধী (anti-terror) ও অন্যান্য ক্রিয়াকলাপে সিআরপিএফ ও সিএসএফ-এর মতো আধা সামরিক বাহিনী (paramilitary forces) সহ ২৯২ জন পুলিশ কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন (martyrs)। এক সরকারি তথ্য থেকে তেমনটাই জানা যাচ্ছে। সেই তথ্য থেকে এও বলা হয় স্বাধীনতার পর থেকে এবছরের আগস্ট পর্যন্ত ৩৫,০০০ পুলিশ কর্মী তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছেন দেশের জন্য। গত একবছরে মৃত ২৯২ জন শহিদের মধ্যে শীর্ষে সিআরপিএফ। ৬৭ জন সিআরপিএফ শহিদ হয়েছেন জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে।
এৱ মধ্যে রয়েছে গত ফেব্রুয়ারিতে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হানায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হন।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে চারটি জঙ্গি শিবির ধ্বংস করল ভারতীয় সেনা
এর পাশাপাশি ৪১ জন বিএসএফ, ২৩ জন ইন্দো-টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ২৪ জন শহিদ হয়েছেন গত এক বছরে। তালিকায় এছাড়াও রয়েছে ২০ মহারাষ্ট্র পুলিশ কর্মী, যাঁদের মধ্যে ১৫ জন মাওবাদীদের হামলায় ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে গদচিরোলি জেলায় শহিদ হন গত মে মাসে।
এছাড়াও ১৪ জন ছত্তিশগড় পুলিশ, ১২ জন কর্নাটক পুলিশ, ১১ জন আরপিএফ এবং রাজস্থান পুলিশ ও দিল্লি পুলিশের ১০ জন করে কর্মী শহিদ হয়েছেন। বিহার পুলিশের সাতজন ও সিআইএসএফ-এর ছ'জন শহিদ হন।
“আমার পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন পীযূষ গোয়েল”, NDTV কে বললেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
তালিকায় এছাড়াও রয়েছেন ঝাড়খণ্ড, উত্তরাখণ্ড, অরুণাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, মণিপুর, অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, সিকিম, হিমাচল প্রদেশ, ত্রিপুরার পুলিশ বাহিনী, সশস্ত্র সীমা বল, জাতীয় নিরাপত্তা মোকাবিলা বাহিনী এবং অসম রাইফেলস-এর কর্মীরা।
তথ্য অনুসারে, আধা সামরিক জওয়ানরা শহিদ হয়েছেন হয় সীমান্তবর্তী সন্ত্রাস অথবা নকশাল হামলার ফলে। রাজ্য পুলিশ কর্মীরা শহিদ হয়েছেন হয় নকশাল, জঙ্গি, মাফিয়া হামলা অথবা অন্যান্য আইন শৃঙ্খলাজনিত সমস্যার ফলে।
স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৯ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৩৫,১৩৬ জন পুলিশ কর্মী শহিদ হয়েছেন দেশের প্রহরা ও মানুষের প্রাণ বাঁচাতে।
২৯২ জন শহিদের নাম জানানো হবে সোমবার পুলিশ স্মারক দিবসের অনুষ্ঠানে। ১৯৫৯ সালে চিনা সেনার গুলিতে ১০ পুলিশকর্মীর শহিদ হওয়ার ঘটনাকে স্মরণ করে বছরের এই দিনটি পালিত হয়।