ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড রাজধানীতে
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লাফিয়ে বাড়ছে অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা। প্রাথমিক খবর অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ছিল ৩৫। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৪৩। দমকল বাহিনির বক্তব্য, রবিবার ভোর পাঁচটায় দিল্লির প্রাণকেন্দ্র আনাজ মণ্ডির কাছে রানি ঝাঁসি রোডের একটি কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগে (Fire) রাজধানীতে। সংখ্যা ৫.২২ মিনিটে তাদের কাছে খবর আসার পরেই আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন। ততক্ষণে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বিশাল আকারে। অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনতে এরপর ৩০টি ইঞ্জিন একযোগে কাজ শুরু করে। পাশাপাশি চলতে থাকে উদ্ধারের কাজও। প্রশাসনের দাবি, মৃতদের অধিকাংশই শ্রমিক। প্রতিদিনের মতোই তাঁরা ঘুমিয়েছিলেন কারখানাতেই। সেই ঘুম যে শেষ ঘুম হবে, কে জানত!
মোদি আসছেন, দাগ ঢাকতে রাস্তা ঢাকল প্লাস্টিকে
তখনও ভালো করে ঘুম ভাঙেনি দিল্লির। আচমকাই আগুনের তাপে আর চিৎকারে ঘুম ভাঙে কিছু ঘুমন্ত মানুষের। কিন্তু ততক্ষণে তাঁরা আগুনের বলয়ে বন্দি। দাউদাউ জ্বলছে কারখানা। ৫০ জনকে বের করে নিয়ে আসা সম্ভব হলেও বাকিরা জীবন্ত দগ্ধ হন অকুস্থলেই।তবে আগুন লাগার সঠিক কারণ জানা যায়নি এখনও। আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। গুরুতর আহত ২০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে রাম মনোহর লোহিয়া এবং হিন্দু রাও হাসপাতালে। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের। কারখানাটি একটি সরু গলিপথে অবস্থিত হওয়ায় দ্রুততার সঙ্গে আগুন নেভানো বা উদ্ধার কাজ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে দমকল বাহিনি
আত্মরক্ষার্থে পুরুষদের কাছ থেকে অধিকার ছিনিয়ে নিন: প্রিয়াঙ্কা গান্ধি
এদিকে পুরো ঘটনা জানার পরেই সোশ্যালে আন্তরিক দুঃখপ্রকাশ করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। জানান, মৃতদের পরিবারের প্রতি তাঁর আন্তরিক সমবেদনা রয়েছে। আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানতে দ্রুত তদন্তে নামার নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসনকে। প্রশংসা করেছেন দমকল বাহিনির তৎপরতার। দুর্ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।